মঙ্গলবার, ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

কয়েক দিনের টানা তীব্র তাপদাহে আটোয়ারীতে জনজীবন বিপর্যস্থ

কয়েক দিনের টানা তীব্র তাপদাহে আটোয়ারীতে জনজীবন বিপর্যস্থ

আটোয়ারী (পঞ্চগড়) সংবাদদাতা: বেশ কিছুুদিন থেকে বৃষ্টির কোন দেখা নেই। এরই মাঝে কয়েক দিনের টানা তীব্র তাপদাহে উপজেলার জনজীবন বিপর্যস্থ। গত প্রায় এক সপ্তাহ থেকে আটোয়ারী সহ আশপাশের এলাকায় ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছে। তবে শনিবার বিকেল অবদি সর্ব্বোচ ৪১ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রের্কড করেছে পঞ্চগড় আবহাওয়া অফিস। এঅবস্থায় তীব্র তাপদাহ আর গরমে গোটা উপজেলার মানুষ সহ প্রাণীকুলের হাঁসফাঁস অবস্থা শুরু হয়েছে। অন্যান্য সময়ের তুলনায় রাস্তাঘাটে লোকজনের দেখা মিলছে কম। তাই হাট-বাজারের দোকানপাট ও রাস্তাঘাট অনেকটা ফাঁকা। এঅবস্থায় দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষও ঘর থেকে বের হতে পারছেনা। এরই মাঝে যেসমস্ত খেটে খাওয়া শ্রমিক পরিবারগুলো দিনে আনে দিনে খায় তারা অগ্যতা পরেই ক্ষেতে-খামারে নিত্য কাজে যোগ দিচ্ছে। কাজে ফাঁকে তারা সামান্য স্বস্তি ও শীতল পরিবেশের জন্য ছুটছে গাছের ছায়াতলে। অতিরিক্ত গরমে শিশুরা ছুটছে বিভিন্ন শরবত ও পানীয়ের দোকানে। কোথাও কোথাও পুকুরে নেমে পড়ছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। প্রখর রোদে প্রাণীকুলের বিচরণ কমে গেছে। গরু-ছাগল মাঠে চষতে দিচ্ছেনা গৃহস্থ পরিবারগুলো। কুকুর-বিড়াল, হাঁস-মুরগীকে বাড়ি আশ-পাশ ঝোঁপ ঝাড়ের ছায়ায় বিশ্রাম নিতে দেখা যাচ্ছে। উপজেলার তোড়িয়া ইউনিয়নের মধ্যকাটালী গ্রামের কৃষক খাজিব উদ্দিন বলেন, প্রচন্ড গরমে কাজের পরিবেশ নেই, কিন্তু কি করব। আমরা তো খেটে খাই। সকালে উঠে ছাতা নিয়ে েেত বের হয়েছি। একই এলাকার সোলেমান আলী অভিমান করে বলেন, গরীবের শরীরের চামড়াতো গন্ডারের চামড়া দিয়ে তৈরী। তাই রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করেই আমাদের মতো মানুষকে পরিশ্রম করতে হয়। ছোটদাপ গ্রামের কৃষক রফিক জানান, সময় গেলেতো আর সাধন হয় না। তাই কাজও করতে হচ্ছে। আবার ফাঁকে ফাঁকে বিশ্রামও নিতে হচ্ছে। সুখাতি গ্রামের রায়হান বলেন, প্রখর রোদ আর তাপদাহে বাসা-বাড়িতেও থাকা যাচ্ছে না। এর মধ্যে পল্লী বিদ্যুৎ মরার ওপর খাঁড়ার ঘাঁ হয়ে ঘন ঘন লোডশেডিং দিচ্ছে। লোডশেডিং শুরু হলে বাসার মধ্যে যেন দম বন্ধ হওয়ার অবস্থা। এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ হুমায়ুন কবীর বলেন, এই গরমে পানি স্বল্পতাসহ হীট স্ট্রোকের ঝুঁকি রয়েছে। শিশুরা সর্দি-কাশিসহ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই তীব্র তাপদাহে সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে বেশি বেশি বিশুদ্ধ পানি সহ তরল খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়াও তিনি শিশু ও বৃদ্ধ মানুষকে জরুরী কাজ ছাড়া বাহির বের না হওয়ারও পরামর্শ দেন।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন