ফুলছড়িতে ১৮ মণের ‘লাল বাদশা’কে নিয়ে নিশি চন্দ্রের স্বপ্ন
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ আসছে কোরবানির ঈদে গাইবান্ধার ফুলছড়িতে ১৮ মণ ওজনের ‘লাল বাদশা’ নামের গরু বিক্রি করা হবে। তোলা হবে কোরবানি পশুর হাটে। এটির দাম রাখা হয়েছে সাড়ে ৭লাখ টাকা। এই দামেই লাল বাদশা বিক্রি হবে বলে স্বপ্ন দেখছেন মালিক নিশি চন্দ্র দাস।
ফুলছড়ি উপজেলার উত্তর উড়িয়া (কটিয়ার ভিটা) গ্রামের নিশি চন্দ্র দাসের বাড়িতে গিয়ে বিশালাকৃতির এই গরুটি দেখা যায়। এসময় লাল বাদশাকে দেখার জন্য মানুষের আনাগোনাও লক্ষ্য করা যায়। প্রায় ৯ ফুট ২ ইঞ্চি লম্বা ও ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি উচ্চতার লাল রঙের লাল বাদশাকে নিয়ে ইতোমধ্যেই এলাকায় হইচই পড়ে গেছে।
এ বিষয়ে কথা হয় নিশি চন্দ্র দাসের স্ত্রী ও স্কুল শিক্ষিকা লিপি রানীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ১ বছর ২ মাস ধরে লাল বাদশাকে নিজের সন্তানের মতো করে লালন-পালন করেছি। মানুষ সন্তানকে যেমন আগলে রাখে, আমিও তেমনিভাবে রেখেছি। নিজের হাতে খাইয়েছি, গোসল করিয়েছি, যত্ন করেছি। এখন বিক্রি করে দিতে হবে ভেবে সন্তান হারানোর মতো কষ্ট পাচ্ছি।
গরুটির মালিক নিশি চন্দ্র দাস বলেন, লাল বাদশার খাদ্য তালিকায় রয়েছে দানাদার খাবারের পাশাপাশি সবুজ ঘাস, আপেল, কলা, কমলাসহ সকল দেশীয় খাদ্য। প্রতিদিন খাবারে জন্য লাল বাদশার পেছনে ব্যয় হয় ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। তিনি তার প্রিয় লাল বাদশার দাম হাঁকছেন সাড়ে ৭ লাখ টাকা। তবে এখন পর্যন্ত খামারে আসা ক্রেতারা সর্বোচ্চ সাড়ে ৪ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা দাম বলেছেন। ন্যায্য দাম পেলেই গরুটি বিক্রি করবেন।
ফুলছড়ি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জহিরুল ইসলাম বলেন, নিশি চন্দ্র দাসের গরুটির ব্যাপারে জানা নেই। খোঁজ নিয়ে তাকে বিক্রির ব্যবস্থা করে দেওয়া যেতে পারে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর উড়িয়া (কটিয়ার ভিটা) গ্রামের কটিয়ার ভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সুশীল মহুরির বাড়িতে নিশি চন্দ্র দাস এবার ঈদে বিক্রির জন্য ফ্রিজিয়াম জাতের ১৮ মণ ওজনের ওই লাল বাদশাকে প্রস্তুত করেছেন। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে সব ক্রেতার নজর কাড়বে গরুটি। খামারির মালিক নিশি চন্দ্র দাস, তার স্ত্রী, ছেলে-মেয়েরা গরুটির নাম দিয়েছেন ‘লাল বাদশা’। লাল বাদশা নামের বিশাল আকৃতির গরুটি দেখতে খামারে প্রতিদিন উৎসুক জনতা ভিড় জমাচ্ছেন।