শনিবার, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

পলাশবাড়ীতে  মৌসুমি ফলের সমাহার

পলাশবাড়ীতে  মৌসুমি ফলের সমাহার
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধাঃদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী আসতে শুরু করেছে মৌসুমি ফল। আড়ত থেকে শুরু করে খুচরা বাজার এমনকি অলিগলি থেকে মহাসড়ক সর্বত্রই আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, আনারসসহ বিভিন্ন দেশীয় রসালো ফলে ভরপুর। ক্রেতা আকর্ষণে হাঁকডাক দিচ্ছেন বিক্রেতারা। পলাশবাড়ীর প্রতিটি বাজারে পাইকারি ও খুচরা ক্রেতাদেরও রয়েছে উপচে পড়া ভিড়।
দেশি ফলের প্রাচুর্যের কারণে বিদেশি ফলের চাহিদা এখন কিছুটা কম। দেশি ফলের বাজার সম্পর্কে জানতে চাইলে ফল ব্যবসায়ী  সিডু  বলেন, এখন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রতিদিনই ট্রাক ভর্তি মৌসুমী ফল কুমিল্লাতে আসছে। এতে প্রতিদিন দুই থেকে পাঁচ লক্ষ টাকার ফল বেচাকেনা হয়।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজোর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা মৌসুমী ফলে ভরপুর হয়ে উঠেছে শহরের মাঠেরহাট বাজার, নয়া বাজার, ফলের আড়ত। এসব আড়ত ও দোকানে উঠেছে বিভিন্ন জাতের আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, পেয়ারা, পেঁপে, সফেদা, কামরাঙা, আনারস, জামরুল, ডালিম, কাঁচা তাল, লটকন, কলাসহ নানা রকম ফল। এর মধ্যে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আম বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ১২০ টাকা। জামরুল, জাম ও লটকন ১০০ থেকে ১২০ টাকা, লিচু প্রতি শত ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাঁঠাল পাওয়া যাচ্ছে আকারভেদে প্রতিটি ২৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, আনারস প্রতিটি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, কাঁচা তাল প্রতিটি ১০ থেকে ১২ টাকা, পেয়ারা ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।পলাশবাড়ী বাজারের ব্যবসায়ী ওছমান হোসেন বলেন এ বছর ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যেই থাকবে ফলের দাম। তিনি বলেন, এ মৌসুমে দেশি ফলের বিকল্প নেই। গ্রীষ্মের দেশি ফল যেমন সুস্বাদু, তেমনি রসেও ভরপুর। তাই এ মৌসুমে দেশি ফলের অনেক চাহিদা রয়েছে। এখন প্রায় সব মৌসুমী ফলই বাজারে আছে। শুরুতে দাম কিছুটা চড়া থাকলেও ক্রমেই তা কমছে। ফরমালিনের কোনো আশঙ্কা নেই। বাজারেও  ফলের পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে। ক্রেতারা ন্যায্য দামেই ফল কিনতে পারবেন।
বাদশা মিয়া বাজারে মৌসুমি ফল কিনতে আসা মো. সোলেয়মান বলেন, বাজারে দেশীয় সব ধরনের ফল পাওয়া যাচ্ছে। পরিবারের জন্য ফল কিনতে এসেছি। বাজার ঘুরে মনে হলে এ বছর সব ফলেরই দাম কিছুটা কম। তিনি বলেন, মৌসুমি ফল খাওয়াটা খুব জরুরি। তাই ফল কিনে বাড়ি ফিরছি।
বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন