রবিবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, যার রেজি নং-৩৬)

শিশুর হাতে কোন বয়সে স্মার্টফোন তুলে দেবেন?

শিশুর হাতে কোন বয়সে স্মার্টফোন তুলে দেবেন?

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক :

এখনকার শিশুরা জন্ম থেকেই গ্যাজেটের সান্নিধ্য পেয়ে অভ্যাস্ত। স্মার্টফোন, ট্যাব, ক্যামেরা এগুলো এখন আর তাদের কাছে বিস্ময়কর কিছু নয়। কয়েক মাসের শিশুও এখন ক্যামেরার সামনে পোজ দিতে জানে। শিশুরা এখন অল্প বয়সেই স্মার্টফোনের ব্যবহার শিখে যাচ্ছে। কিন্তু এই কাজ কি তাদেরকে আদৌ স্মার্ট করে তুলছে? আমাদের শৈশব আর তাদের শৈশব যেহেতু এক নয়, তাই তাদের হাতে স্মার্টফোন কখন তুলে দেওয়া যাবে, আদৌ দেওয়া যাবে কি না তা নিয়ে বেশিরভাগ অভিভাবক দ্বিধান্বিত থাকেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, যতটা সম্ভব দেরিতে দিলেই ভালো।

স্মার্টফোন, অ্যাপ, গেম ও সোশ্যাল মিডিয়া শিশুকে আকৃষ্ট করে চুম্বকের মতো। যে কারণে শিশুর মস্তিষ্কের স্বাভাবিক বিকাশ বাধা প্রাপ্ত হয়, এমনটাই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে সবার আগে সচেতন হওয়া প্রয়োজন অভিভাবকদের। বর্তমানে প্রায় সব বাড়িতেই বড়দের ফোন নিয়ে শিশুরা ঘাঁটাঘাঁটি করে। এমনকী খাবার খেতে বসলেও তাদের ইউটিউবে ভিডিও প্লে করে দিতে হয়। যেকোনো বায়না সহজে ভোলাতে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় স্মার্টফোন।

সঠিক বয়স

শিশুদের স্মার্টফোন দেওয়ার সঠিক বয়স কোনটি তা নিয়ে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের অলাভজনক মিডিয়া সংস্থা ন্যাশনাল পাবলিক রেডিও (এনপিআর)। স্ক্রিন টাইম কনসালটেন্ট এমিলি চেরকিন সেখানে বলেছেন, যত বেশি দেরি করে শিশুর হাতে স্মার্টফোন বা সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাক্সেস দেওয়া যায় ততই ভালো। তিনি আরও বলেন, ‘আমি অনেক বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করেছি, কোনো অভিভাবককেই আক্ষেপ করতে শুনিনি যে কেন তিনি আরও আগে শিশুর হাতে স্মার্টফোন তুলে দেননি! বরং উল্টো আক্ষেপই শুনেছি।’

স্মার্টফোনে ক্ষতি

আরেকটি অলাভজনক সংস্থা কমন সেন্স মিডিয়ার সমীক্ষায় দেখা গেছে, ১১ থেকে ১৫ বছর বয়সী ১৩০০ মেয়ের মধ্যে ৬০ শতাংশ স্ন্যাপচ্যাট ব্যবহারকারীর সঙ্গে অজানা মানুষের যোগাযোগ হয়েছে এবং বিব্রতকর বার্তা এসেছে। একই ঘটনা ঘটেছে টিকটক ব্যবহারের ক্ষেত্রেও, সেখানে এই হিসাব শতকরা ৪৫ শতাংশ মেয়ের ক্ষেত্রে ঘটেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন কন্টেন্টই বেশি যা শিশুর জন্য উপযুক্ত নয়। সেসবের মধ্যে যেমন যৌনতা রয়েছে, তেমনই রয়েছে হিংস্র অনেক বিষয়ও। শিশু এসব দেখে নিজের ক্ষতি করে ফেলতে পারে। সেইসঙ্গে প্রতিটি প্ল্যাটফর্মের ইনবক্সও খুব ভয়ঙ্কর। সেখানে অসৎ উদ্দেশ্য অনেক মানুষ খারাপ বার্তা পাঠাতে থাকেন। এটিও শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে।

স্মার্টফোনের পরিবর্তে যা দিতে পারেন

শিশুর কখনো কখনো ফোনের প্রয়োজন হতে পারে। আত্মীয়-পরিচিতদের সঙ্গে কথা বলার সময় তাদের হাতে ফোন দিতে পারেন। পড়াশোনার প্রয়োজনে যতটুকু দরকার তাকে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে দিন। যদি ফোন দেওয়া খুব বেশি দরকার হয় তবে স্মার্টফোনের বদলে বাটন ফোন দিন। এতে জরুরি প্রয়োজনে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সহজ হবে।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন