সোমবার, ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

মধ্যপাড়া খনিতে পাথর উত্তোলনে রেকর্ড

মধ্যপাড়া খনিতে পাথর উত্তোলনে রেকর্ড

সোহেল সানী। দেশের একমাত্র দিনাজপুরের পার্বতীপুরের মধ্যপাড়া খনিতে এক মাসে ১ লাখ ৩৯ হাজার মে.টন পাথর উত্তোলন খনির উৎপাদন ইতিহাসে পাথর উত্তোলনে নতুন রেকর্ড। ইতিপুর্বে খনি থেকে এক মাসে এতো পরিমান পাথর উত্তোলন করা কখনোই সম্ভব হয়নি। ২০০৭ সালের ২৫ মে পাথর খনির নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলন শুরু হয়। খনি থেকে দৈনিক ৫০০ মে.টন পাথর উত্তোলন করা হতো। আর পুরো এক মাসে পাথর উত্তোলন করা হতো মাত্র ১৫ হাজার মে.টন। সেখানে খনির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিটিসি গত জুলাই মাসে ১ লাখ ৩৯ হাজার পাথর উত্তোলনে নতুন রেকর্ড। মধ্যপাড়া পাথর খনি পরিচালনা, উৎপাদন এবং উন্নয়নে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান (জিটিসি)’র সাথে দ্বিতীয় দফা চুক্তির পর গত জুলাই মাসে খনির উৎপাদন ইতিহাসে পাথর উত্তোলনে নতুন মাসিক রেকর্ড। এর আগে গত মে মাসে ১ লাখ ৩৮ হাজার মে. টন পাথর উত্তোলন করেছে।
বর্তমান সরকার লোকসানে চলা পাথর খনিটিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে ২০১৩ সালে ২ সেপ্টেম্বর খনি সচল রাখতে বেলারুশের জার্মাানীয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি)’র সাথে মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লেমিটেড (এমজিএমসিএল) মধ্যে ৬ বছরের আন্তার্জতিক চুক্তি হয়। ২০১৪ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারী জিটিসি খনির উন্নয়ন ও উৎপাদনকে গুরুত্বের সাথে নিয়ে পাথর উত্তোলন শুরু করে। প্রথম দফা চুক্তির মেয়াদে নানা প্রতিকূলতার মাঝেও জিটিসি গত ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছর থেকে টানা ৪ অর্থ বছরে খনিটিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে। যার ফলশ্রুতিতে পাথর উত্তোলনে জিটিসি’র এই সফলতার পর প্রথম দফা চুক্তির মেয়াদ শেষে জিটিসি’র সাথে নতুন করে আবারও খনি কর্তৃপক্ষের ৬ বছরের জন্য চুক্তি হয়। ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফা চুক্তির প্রথম বছরে নির্ধারিত সময়ে বাৎসরিক উত্তোলনের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী পরিমান পাথর উত্তোলন করে জিটিসি তাদের সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে। ফলে খনিটি বর্তমানে সরকারের লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়ার ফলে বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে খনি সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণের অর্থনৈতিক এবং জীবন মানের উন্নতি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লেমিটেড (এমজিএমসিএল) এর ব্যবস্থপনা পরিচালক (এমডি) আবু দাউদ মো: ফরিদুজ্জামান বলেন, জিটিসি খনি থেকে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পাথর উত্তোলন হয়েছে। বর্তমান খনিটি সরকারের একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান এবং এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন