আটোয়ারীতে এক বীরমুক্তিযোদ্ধার সংবাদ সম্মেলন
আটোয়ারী (পঞ্চগড়) সংবাদদাতা: পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে অপমানের বিচার ও বিরোধীয় জমি উদ্ধারের জন্য সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক বীরমুক্তিযোদ্ধা সহ তার পরিবার। সোমবার (০২ অক্টোবর) দুপুরে আটোয়ারী প্রেসকাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা রহিম উদ্দীন উপজেলার ধামোর ইউনিয়নের বারাগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। বার্ধক্যজনিত অসুস্থ্যতার কারণে তার ছেলে শাহ আলম সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শোনান।
লিখিত বক্তব্যে জানান, তিনি নাবালক থাকায় বিমাতা ঘরের সর্ম্পকে ভাতিজা উপজেলার রাধানগর ঘোড়াডাঙ্গা গ্রামের জনৈক অলিয়র রহমান ওই বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রায় ৬ একর জমি ভোগ দখল করে আসছিলেন। তিনি সাবালক হওয়ার পর জমি ফেরত চাইলে তার ভাতিজা দুটি দানপত্র দলিল দেখিয়ে জোড়পূর্বক দখলে রাখেন। এঅবস্থায় তিনি ২০০৭ সালে সিভিল মামলা দায়ের করলে ২০১৪ সালে তার পক্ষে বিজ্ঞ আদালত রায় দেন। রায় পেয়ে তিনি জমিতে গেলে ভোগদখলকারী অলিয়র রহমান বীরমুক্তিযোদ্ধা রহিম উদ্দীনকে লাথিমেরে তাড়িয়ে দেন। পরে তিনি আবারো উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করেন।
এদিকে গত ২০২১ সালের বিজয় দিবসের দিন তিনি উক্ত বিরোধীয় জমিতে ঘর উত্তোলন করেন। ওই দিন বিকেলে অলিয়র রহমান মৃত্যু বরন করলে বিরোধীয় জমি ফিরিয়ে পাওয়ার দাবীতে লাশ দাফনে আপত্তি জানান তিনি। ঠিক সেই মূহুর্তে অলিয়রের বড় ছেলে নুরে আলম বীরমুক্তিযোদ্ধা রহিম উদ্দীনকে এলোপাথারি লাথি মেরে লাঞ্চিত করলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করেন। ওই ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের উদ্যোগে সৃষ্ট ঘটনার মিমাংসার উদ্যোগ নিলেও কোন লাভ হয়নি। ফলে তিনি সংবাদ সম্মেলনের আশ্রয় নেন মুক্তিযোদ্ধা সহ তার পরিবার।
এ ব্যাপারে মৃত অলিয়র রহমানের ছেলে নুরে আলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এই ঘটনা নিয়ে ওই সময়ে সংশ্লিষ্ট দুই ইউপি চেয়ারম্যান মিমাংসার জন্য বসেছিলেন কিন্তু তিনি কাগজপত্র দেখাতে না পাড়ায় জমির সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয়নি। নুরে আলম জানান, ওই দিন লাথি মারা সহ লাঞ্চিতের মতো কোন ঘটনা ঘটেনি। তারা উদ্দীন উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই এসব করে বেড়াচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, আমার জমিতে অনুপ্রবেশ করার কারনে তাদের বিরুদ্ধে আমি আদালতে মামলা দায়ের করেছি।
সংবাদ সম্মেলনে, বীরমুক্তিযোদ্ধার দুই স্ত্রী মোছাঃ সহিদা বেগম ও মোছাঃ খুশিয়া বেগম, মেয়ে মোছাঃ রাজিয়া বেগম ও রাবেয়া বেগম, বৌ-মা মোছাঃ রানু বেগম সহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।