রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

টাকার বিনিময়ে খুন করতেন তারা

টাকার বিনিময়ে খুন করতেন তারা

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : রাজবাড়ীর পাংশায় অভিযান চালিয়ে দুইটি ওয়ান শুটার গান, ছয়টি ককটেল ও চারটি তাজা কার্তুজসহ দুই ভাড়াটে খুনিকে গ্রেপ্তার করেছে পাংশা মডেল থানা পুলিশ। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রেজাউল করিম। এর আগে রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে পাংশা উপজেলার কসবামাঝাইল ইউনিয়নের কুঠিমালিয়াট গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, পাংশা উপজেলার কুঠিমালিয়াট পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত কাদের মন্ডলের ছেলের কাফিল উদ্দিন ওরফে কইফে (২৭) ও কুঠিমালিয়াট মধ্যপাড়া গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে শাওন (২২)। সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম জানান, গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাংশা থানা এলাকায় গৃহবধূ রোজিনা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করতে গিয়ে আমরা কিছু বিস্ময়কর তথ্য পাই। এরপর জড়িত শিহাব নামের এক আসামিকে আমরা গ্রেপ্তার করি। শিহাবকে জিজ্ঞাসাবাদে আমরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাই। আমরা জানতে পারি, পাংশা থানা এলাকার কয়েকজন সন্ত্রাসী ভারতে অবস্থান করছে। তারা সেখান থেকে পরিকল্পনা ও দিক নির্দেশনা দিয়ে পাংশা থানার বিভিন্ন এলাকায় কন্ট্রাক্ট কিলিং বা টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংগঠিত করে। সেখান থেকেই মূলত এই রোজিনা হত্যাকাণ্ড ও আরও কিছু পরিকল্পনা জানতে পারি। পরে জেলা পুলিশের চৌকস টিম অভিযান চালিয়ে কাফিল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তী সময়ে তার কাছ থেকে জানা যায় পাংশায় একটি গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে যারা টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকে।পরবর্তী পরিকল্পনায় তাদের টার্গেট ছিল আলাল নামের এক ব্যক্তিকে তারা হত্যা করবে। আলাল ইতোপূর্বে কইফের অস্ত্র মামলার সাক্ষী ছিল। এছাড়া তাদের পরিকল্পনায় ছিল মনিরুল নামের একজনকে তারা হত্যা করার। যার সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল ওয়াজেদের। এই ওয়াজেদ টাকার বিনিময়ে হত্যা করার জন্য তাদের ঠিক করে। এই ঘটনাগুলো সংঘটিত হওয়ার আগেই আমরা কইফে ও শাওনকে গ্রেপ্তার করি। এসময় তুষার বিশ্বাস নামের একজন পালিয়ে যায়। গ্রেপ্তারকৃত কইফের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার খালার পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে ২টি ওয়ান শুটার গান, ৪টি তাজা কার্তুজ ও ৬টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা মূলত ভাড়াটে খুনি। তাদের গ্রুপে একাধিক সদস্য রয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত দুইজন আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা, পাংশা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদারসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন