ঈদে অগ্রিম টিকিট বিক্রি নিয়ে যা জানালেন রেলমন্ত্রী
মুক্তিনিউজ২৪.কম ডেক্স : রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, এবার ঈদে বিভিন্ন রুটে ৯ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চালানো হবে। পরে আরও একটি ট্রেন বাড়ানো হতে পারে। এবার যেন কালোবাজারি না হয় সেজন্য রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কোনো টিকিট দেয়া হচ্ছে না। ঈদযাত্রায় যেন রেলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন না হয় সেজন্য ঈদুল ফিতরের সব অগ্রিম টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে। বুধবার দুপুরে রাজধানীর রেলভবনে আসন্ন ঈদুল ফিতরের টিকিট ব্যবস্থাপনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।
মন্ত্রী আরও জানান, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ে আগামী ৭ এপ্রিল থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করবে। এবার ঈদের ৫ দিনের অগ্রিম টিকিট শতভাগ অনলাইনে দেয়া হবে।
অর্থাৎ কোনো অগ্রিম টিকিট স্টেশনের কাউন্টারে দেয়া হবে না। একই সঙ্গে আগামী ১ এপ্রিল থেকে ১০ দিন আগের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে। এর আগে ৫ দিন পূর্বের অগ্রিম টিকিট দেয়া হতো।
মন্ত্রী জানান, আগামী ৭ এপ্রিল দেয়া হবে ১৭ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট, ৮ এপ্রিল দেয়া হবে ১৮ এপ্রিলের, ৯ এপ্রিল মিলবে ১৯ এপ্রিলের, ১০ এপ্রিল দেয়া হবে ২০ এপ্রিলের এবং ১১ এপ্রিল দেয়া হবে ২১ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট।
ঈদ পরবর্তী ফিরতি যাত্রার অগ্রিম টিকিট দেয়া শুরু হবে ১৫ এপ্রিল থেকে। শুরুর দিনে দেয়া হবে ২৫ এপ্রিলের টিকিট। ১৬ এপ্রিল দেয়া হবে ২৬ এপ্রিলের, ১৭ এপ্রিল মিলবে ২৭ এপ্রিলের, ১৮ এপ্রিল দেয়া হবে ২৮ এপ্রিলের এবং ১৯ এপ্রিল দেয়া হবে ২৯ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঈদ উপলক্ষে আন্তঃদেশীয় মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন ১৮ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। আন্তঃদেশীয় মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন বন্ধ থাকবে ২০ থেকে ২৭ এপ্রিল। তবে আন্তঃদেশীয় বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন যথারীতি চলাচল করবে।
ঈদুল ফিতরের দিন বিশেষ ব্যবস্থাপনায় কতিপয় মেইল এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে। তবে কোনো আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে না।
ঈদুল ফিতরের আগে ২০ এপ্রিল রাত ১২টার পর থেকে ঈদের দিন ২২ মার্চ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কনটেইনার ও জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন ছাড়া অন্যান্য সব পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হবে।
তাছাড়া বিনা টিকিটের যাত্রী প্রতিরোধ কমলাপুর, বিমানবন্দর, জয়দেবপুর, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা ও সব গন্তব্য স্টেশনসহ বড় বড় স্টেশনে জিআরপি, আরএনবি, বিজিবি ও স্থানীয় পুলিশ এবং র্যাবের সহযোগিতায় টিকিটবিহীন যাত্রী স্টেশনে প্রবেশ প্রতিরোধে সার্বক্ষণিক প্রহরার ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি জেলা প্রশাসকদের সহায়তায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চলন্ত ট্রেনে, স্টেশনে বা রেললাইনে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে আরএনবি, জিআরপি ও রেলওয়ে কর্মচারীদের কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে। এছাড়া র্যাব, বিজিবি, স্থানীয় পুলিশ ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্রিয় সহযোগিতায় নাশকতাকারীদের কঠোরভাবে দমন করা হবে।
ঈদযাত্রার শুরুর দিন ১৭ এপ্রিল থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ঢাকাগামী একতা, দ্রুতযান, পঞ্চগড়, নীলসাগর, কুড়িগ্রাম, লালমনি ও রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনসমূহের ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে যাত্রাবিরতি থাকবে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবির, রেলের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।