শেরপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে দলিলের নকল তুলতে হয়রানীর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
মুহাম্মদ আবু হেলাল, শেরপুর প্রতিনিধি :
শেরপুর সাব-রেজিস্ট্রী অফিসে রেজিস্ট্রিকৃত একটি দলিলের নকল তুলতে গিয়ে দীর্ঘ ৪ মাসেও নকল না পেয়ে সাংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী সদর উপজেলার নলবাইদ গ্রামের মোঃ শাহাদুল ইসলামের স্ত্রী শাপলা আক্তার। ২৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের সিংড়াপাড়াস্থ ভড়া বাসায় এ সংবাদ সম্মেলনে শাপলা আক্তার তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০২১সালের ১এপ্রিল শেরপুর সদর সাব-রেজিস্ট্রী অফিসে রেজিস্ট্রিকৃত ৩৪১১ নং দলিলের নকল তুলতে গিয়ে গত ৪ মাস ঘুরেও তিনি কোন নকল তুলতে পারেননি। উল্টো গত ২৫ সেপ্টেম্বর সাব-রেজিস্ট্রী অফিসে নকল উত্তোলনের জন্য গেলে অফিস সহকারী তাকে জোর করে অফিস থেকে বের করে দেয়ার পাশাপাশি পরবর্তীতে এলে তাকে পুলিশ দিয়ে হয়রানীরও হুমকি দেয়। তিনি আরো বলেন, অফিস হতে বের হওয়ার সময় তার শ্বশুর হানিফ উদ্দিন মেম্বার, তার মেয়ের জামাই মোঃ উজ্জল মিয়া ও মোঃ বোরহান উদ্দিনসহ কয়েকজন অপরিচিত ব্যক্তি আবারো নকল উত্তোলনের জন্য এলে তাকে খুন করে গুম করে ফেলার হুমকী দেয়। জানা যায়, ওই দলিল মূলে তিনি তার স্বামী শাহাদুল ইসলামের নিকট থেকে চার পয়েন্ট ৭৫ শতাংশ এবং তার শ্বশুর হানিফ উদ্দিন মেম্বার পোয়া শতাংশ, দুজনে যৌথ ভাবে ৫ শতাংশ ভূমির মালিক হন। কিন্তু হানিফ উদ্দিন মেম্বার, শেরপুর সদর সাব-রেজিস্ট্রী অফিসের কতিপয় দুর্নীতি পরায়ণ কর্মচারীর যোগসাজসে দলিলটি গোপন করে হানিফ উদ্দিন মেম্বার তার নিজ নামে একটি ভুয়া একক দলিল সৃষ্টি করে অন্য ব্যাক্তির কাছে সেই জমি বিক্রির জন্য রেজিস্ট্রী বায়নাপত্র সম্পাদন করেছেন। শাপলা আক্তার জানান, ইতিমধ্যেই তার স্বামী দ্বিতীয় বিবাহ করেছেন। প্রাপ্য বৈধ ভূমির মালিকানা থেকে বঞ্চিত করতেই তার দলিল আটকে রেখে তাকে হয়রানী করা হচ্ছে। এদিকে দলিলের নকল পেতে সহযোগিতা চেয়ে গত ২১ আগষ্ট এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শাপলা আক্তার। অভিযোগের অনুলিপি জমা দিয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি), শেরপুর এর এর কার্যালয়ে । অপরদিকে জেলা রেজিস্টার নূর নেওয়াজ লিটু জানান, দরখাস্তে মোছাঃ শাপলা আক্তার এর স্বাক্ষর নেই। এছাড়াও দাখিলপ্রাপ্ত দলিল যাচাই আন্তে আপাত দৃষ্টিতে বুঝা যায় দু’টি পাতা পরিবর্তন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা মামলা করার প্রস্তুতি নিয়েছি। মামলায় ১ নম্বর আসামী হিসেবে থাকছে শাপলা আক্তার, কারণ ধারণা করা হচ্ছে শাপলা আক্তার সদর মহাফেজখানার বা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কাউকে দিয়ে এ অন্যায় কাজটি করিয়েছে।