এবার সাময়িক বরখাস্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে টিসিবির পণ্য আত্মসাতে অভিযোগ
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: একের পর এক নানা অনিয়ম আর বিতর্কিত কর্মকাণ্ড সৃষ্টি করে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা। আলোচিত এই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এবার এক হাজার ২০০ ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবির) পণ্য আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
ইউপি চেয়ারমান আতা ও টিসিবির ডিলার হয়রত শাহ্ জালাল ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আবু সায়েমের যোগসাজসে ওই ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ১২০০ কার্ডধারীর টিসিবির পণ্য আত্মসাত করেছেন বলে জানা গেছে। এমন অভিযোগে ১৭ সুবিধাভোগী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন।
জানা গেছে, প্রতি কার্ডধারী ৪৭০ টাকা দরে প্রতি প্যাকেজে দুই লিটার সয়াবিন তেল, পাঁচ কেজি চাল ও দুই কেজি মসুর ডাল কিনতে পারবেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, থেতরাই ইউনিয়ন পরিষদের ৭, ৮ ও ৯নম্বর ওয়ার্ডের কার্ডধারী সুবিধাভোগীদের মাঝে ২৫ সেপ্টেম্বর পরিষদ চত্বরে টিসিবি পণ্য বিতরণ করা হবে সকলকে যথাসময়ে উপস্থিত থেকে পণ্য উত্তোলনের জন্য মাইকিং করেন ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষ।
মাইকিং শুনে ২৫ সেপ্টেম্বর কার্ডধারী সুবিধাভোগীরা পণ্য নিতে পরিষদে আসলে চেয়ারম্যান বলেন, আজকের পরিবর্তে আগামীকাল ২৬ সেপ্টেম্বর পণ্য বিতরণ করা হবে। পরের দিন ২৬ সেপ্টেম্বর কার্ডধারীগণ উপস্থিত হলে তিনি আবার বলেন, ২৭ তারিখে বিতরণ হবে এভাবে সুবিধাভোগীদের সাথে টালবাহানা শুরু করেন ওই চেয়ারম্যান। পুনঃরায় ২৭ তারিখে সুবিধাভোগীরা পরিষদে টিসিবি পণ্য নিতে আসলে চেয়ারমান আতাউর রহমান সবাইকে জানিয়ে দেন ওই তিন ওয়ার্ডের টিসিবি পণ্য সরকার দেয় নাই আপনারা চলে যান।
সুবিধা বঞ্চিত সুবিধাভুগী মনোয়ারা বেগম জানান, একটিপ (একবার) মাল তোলার জন্য হামরা (আমরা) তিনদিন পরিষদে আসি (এসে) ঘুড়ি (ফিরে) আসছি। মালতো পাইনোনা (পেলামনা) অথচ তিনদিন যাওয়া আইসার (যাতায়াতের) টেকা (টাকা) গেল। একই কথা বলেন, নুরভানু, মুসলীম, মকবুল ও মহসীনসহ অনেকেই।
থেতরাই ইউনিয়নের টিসিবি পণ্যর ডিলার হয়রত শাহ্ জালাল ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আবু সায়েম বলেন, ৭, ৮ ও ৯নম্বর ওয়ার্ডের সব মাল বিতরণ করা হয়েছে। সদ্য সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ইউপি চেয়ারমান আতাউর রহমান আতা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, টিসিবি পণ্য সকলেই পেয়েছে। অনুপস্থিত থাকায় হয়তো সাত-আট জন পায়নি।
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘নতুন ইউএনও স্যার যোগদান করে ছুটিতে আছেন। ছুটি শেষ হলে এসে চেয়ারম্যান ও টিসিবি পণ্য ডিলারের বিরুদ্ধে অভিযোগটি স্যার খতিয়ে দেখবেন।