শনিবার, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

বগুড়ার নন্দীগ্রামে খেজুরগাছ ঝরার কাজে ব্যস্ত গাছিয়ারা

বগুড়ার নন্দীগ্রামে খেজুরগাছ ঝরার কাজে ব্যস্ত গাছিয়ারা

 

জিল্লুর রয়েল, নন্দীগ্রাম (বগুড়া) ঃ বগুড়ার নন্দীগ্রামে খেজুরগাছ ঝরার কাজে ব্যস্ত গাছিয়ারা। এখন হেমন্তকাল চলছে। মাঠ থেকে আমন ধান কাটামাড়াইয়ের কাজ চলছে। নতুন ধানের নতুন চালের মৌ মৌ গন্ধ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। এদিকে শীতের শিশির পড়া শুরু হয়েছে। সেই সাথে খেজুরগাছেও রস আসছে। সে জন্য খেজুরগাছের ডালপালা কেটে-ঝুরে ফেলে হাড়ি লাগানোর জন্য প্রস্তুত করার কাজ চলছে। হেমন্ত, শীত ও বসন্তকালে খেজুরগাছ থেকে খেজুর রস সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। খেজুর রস সংগ্রহ করার জন্য আগেই খেজুরগাছ ঝরার কাজ করে হাড়ি লাগানোর জন্য প্রস্তুত করতে হয়। সে জন্য দরকার হয় গাছিয়াদের। যারা গাছ ঝরার কাজ করে তাদেরকে আঞ্চলিক ভাষায় গাছিয়া বলা হয়। নন্দীগ্রাম উপজেলায় খেজুরগাছ ঝরার কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। পাশাপাশি খেজুরগাছের রস সংগ্রহের জন্য হাড়িও লাগানো হচ্ছে। শীতকালে খেজুর রস খেতে অনেকটা মজা লাগে। খেজুর রস দিয়ে পিঠা-পুলি, ক্ষীর ও পায়েসসহ নানা রকমের রসালো খাবার তৈরী করা হয়। যা খেতে খুব সুস্বাদু ও মজাদায়ক। খেজুরের তরল ও পাটারী গুড়েরও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই খেজুর রস ও গুড় অনেকটা জনপ্রিয়। নন্দীগ্রাম উপজেলায় বিপুল পরিমাণ খেজুরগাছ রয়েছে। যা থেকে বিপুল পরিমাণ খেজুর রস ও গুড় পাওয়া যায়। নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের বর্ষন গ্রামের সামছুর রহমান প্রায় ১৬টি খেজুরগাছ থেকে রস সংগ্রহ করে। তিনি বলেন, এখন খেজুরগাছের ডালপালা কেটে-ঝুরে হাড়ি লাগানোর জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। প্রতিটি খেজুরগাছের ডালপালা কেটে-ঝুরে নিতে ১০০ টাকা মজুরী দিতে হয়। আর ১০/১২ দিন পর খেজুরগাছ থেকে রস সংগ্রহ করা হবে।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন