ক্রীড়াঙ্গনে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী: পড়েনি ক্রিকেটের আলো
মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : বাংলাদেশে বৃহৎ বাঙালি জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি রয়েছে অনেক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বসবাস। দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মধ্যে ক্রীড়াঙ্গনেও রয়েছে তাদের বিচরণ। ক্রীড়াঙ্গনে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের নিয়ে ঢাকা পোস্টের সিনিয়র স্পোর্টস রিপোর্টার আরাফাত জোবায়ের এর ধারাবাহিক প্রতিবেদনের প্রথম পর্বে তুলে ধরেছেন জাতীয় পর্যায়ে অনেক খেলায় তাদের অসম্পৃক্ততা ও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার বিষয়টি।
দেশের অন্যতম জনপ্রিয় খেলা ক্রিকেট। সেই ক্রিকেটে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের অংশগ্রহণ নেই বললেই চলে। বিশেষত পুরুষ ক্রিকেট জাতীয় দলে এখন পর্যন্ত কেউই ডাক পাননি। জাতীয় দল তো দূরের কথা, জাতীয় লিগ বা প্রিমিয়ার লিগে এই গোষ্ঠীটির খেলার বিষয় স্মরণ করাই যেন বেশ দুরূহ অবস্থা ক্রিকেটসংশ্লিষ্টদের। সাবেক ক্রিকেটার ও রাঙামাটিতে বিসিবির নিযুক্ত কোচ মহীতোষ দেওয়ানের দাবি, ‘নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি আমিই একমাত্র মোহামেডান ও গুলশান ইয়ুথে খেলেছি। আমার আগে ও পরে আদিবাসীদের (ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী) মধ্যে ঢাকার শীর্ষ লিগে ক্রিকেট কেউ খেলেনি। কোচ হিসেবে চেষ্টা করছি আদিবাসী ক্রিকেটারদের এগিয়ে নিতে। নারী ক্রিকেট লিগে আদিবাসীরা খেলা শুরু করছে।’ পুরুষ ক্রিকেটে জাতীয় দলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কেউ না থাকলেও নারী দলে খেলেছেন একজন (২০০৯-১১)। চম্পা চাকমা এখন পর্যন্ত প্রথম এবং একমাত্র আদিবাসী ক্রিকেটার সিনিয়র নারী ক্রিকেট দলে। এই পরিচয় চম্পার জন্য যেমন গর্বের তেমনি অতৃপ্তিরও, ‘আদিবাসীদের মধ্যে আমিই প্রথম সিনিয়র ক্রিকেট জাতীয় দলে খেলে ইতিহাস করেছি। এটা যেমন গর্বের তেমনি হতাশার যে ক্রিকেট দলে খেলতে আদিবাসীদের দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়েছে আবার আফসোসও আমার পর আর কেউ নেই। আমি অনেক চেষ্টা করছি লেকি ( অ-১৯ নারী দল) জাতীয় দলে আসুক। এজন্য তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছি।’
চম্পার ক্রিকেটার হওয়ার অন্যতম কারিগর রাঙামাটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ও সাবেক মানবাধিকার কমিশনের সদস্য (২০১০-১৬) নিরুপা দেওয়ান। তিনি রাঙামাটি জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদকও। তার অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতায় মূলত চম্পা জাতীয় ফুটবল দলে ইনজুরিতে পড়ার পর ক্রিকেটার হয়েছেন। জাতীয় ক্রিকেট দলে অবশ্য চম্পার ক্যারিয়ার খুব বেশি দীর্ঘ হয়নি। ক্রিকেটে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষের উঠে না আসার কারণ সম্পর্কে চম্পার ব্যাখ্যা, ‘প্রথমত ক্রিকেট ব্যয়বহুল খেলা। আদিবাসীদের মধ্যে অনেকেই আর্থিকভাবে দুর্বল। তাই ক্রিকেটের দিকে আগ্রহী হয় না। আরেকটি বিষয় ফুটবল, হ্যান্ডবল, কাবাডি, আরচ্যারিসহ অন্য খেলা খুব অল্প সময়ে। তাই পড়াশোনা, বাড়ির কাজ অন্য কাজ করে এগুলো খেলা যায় কিন্তু ক্রিকেটে সারাদিনই লাগে।’
পুরুষ ক্রিকেটে জাতীয় দলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কেউ না থাকলেও নারী দলে খেলেছেন একজন (২০০৯-১১)। চম্পা চাকমা এখন পর্যন্ত প্রথম এবং একমাত্র আদিবাসী ক্রিকেটার সিনিয়র নারী ক্রিকেট দলে।
জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত ফুটবলার ও রাঙামাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক বরুন বিকাশ দেওয়ান প্রায় দুই দশক স্থানীয় ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে কাজ করছেন। ৫০ বছরের বেশি সময় পরও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মাঝে ক্রিকেট সংস্কৃতি গড়ে না উঠায় ব্যর্থতা এবং দায় সকলকে বণ্টন করে দিলেন, ‘এটা আসলে খুব দুঃখজনক। প্রায় পাঁচ দশকের মধ্যে কোনো পুরুষ ক্রিকেটার শীর্ষ পর্যায়ে নেই। এটা আমাদের স্থানীয় ক্রীড়া সংগঠকদের যেমন ব্যর্থতা তেমনি বোর্ডেরও।’ সাবেক জাতীয় ফুটবলার বরুন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কাউন্সিলর ছিলেন দুই মেয়াদে। বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের ক্রিকেট জাগিয়ে তোলার দাবি তুলেও লাভ হয়নি করুন কণ্ঠে বললেন বরুন, ‘ক্রিকেট বোর্ডের এজিএমে আমি বলেছিলাম তিন পার্বত্য এলাকায় ক্রিকেট বিকাশের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা ও সাহায্য প্রয়োজন। তখন সবাই সম্মত হলেও পরবর্তীতে আর কাজ কিছুই হয়নি।’ বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের অধিকাংশের অবস্থান পার্বত্য অঞ্চলে যা চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে। চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার দীর্ঘদিনের সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক পরিচালক সিরাজউদ্দিন মোঃ আলমগীর তাদের ক্রিকেট প্রসঙ্গে বলেন, ‘এখনো পার্বত্য অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থা সমস্যা। শহর থেকে গ্রামে আসা যাওয়ায় এক দিন লেগে যায়। অন্য সকল খেলায় আদিবাসীদের যেমন পাওয়া যায় ক্রিকেটে সেই রকম নয়। বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা থেকে উদ্যোগ নেওয়া হলেও সেভাবে সাড়া পাওয়া যায়নি৷’ একটি খেলা শুধু আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সাফল্যই শেষ কথা নয়, দেশের সর্বস্তর ও জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিকাশও খেলাটির অন্যতম সার্থকতা। নানা প্রতিবন্ধকতায় এই জনগোষ্ঠীর মধ্যে ক্রিকেট এখনো সেভাবে বিকশিত হয়নি। নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত ক্রিকেট বোর্ড অসচ্ছল ছিল। গত দুই দশকে ক্রিকেট বোর্ডে প্রচুর অর্থবিত্ত। ক্রিকেট বোর্ড সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে অনেক খেলার উন্নয়নে নানা সহযোগিতা করলেও ক্রিকেটের আলোই এখনো ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কাছে ভালোভাবে পৌঁছায়নি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অন্যতম সিনিয়র পরিচালক আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি প্রায় পাঁচ দশক ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত। আদিবাসীদের ক্রিকেট নিয়ে বোর্ডের বিশেষভাবে কাজ করার তাগিদ অনুভব করলেন, ‘অবশ্যই পার্বত্য অঞ্চল ও ক্রিকেটে পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে বিশেষভাবে ভাবার এবং কাজ করার সময় হয়েছে।’ ক্রিকেটের মতোই অবস্থা দাবায়। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জাতীয় দাবাড়ুর সংখ্যা মাত্র একজন। পটুয়াখালীর উতেনই দুইবার জাতীয় দাবায় জায়গা করে নিয়েছিলেন। জনগোষ্ঠীটির দাবা নিয়ে উতেন বলেন, ‘১৯৯৪ সাল থেকে আমি দাবা ফেডারেশনে দাবা খেলি। আমার আগে কোনো আদিবাসী এসেছে শুনিনি। আমার পরে কয়েকজন এসেছে তারা ধারাবাহিকভাবে খেলেনি। রেটিং টুর্নামেন্ট খেললেও জাতীয় দাবায় কোয়ালিফাই করতে পারেনি। আমি প্রায় বিশ বছর দাবার সঙ্গে জড়িত। এর মধ্যে দুইবারই শুধু জাতীয় দাবাড়ু হতে পেরেছিলাম। আদিবাসীদের মধ্যে দাবার প্রচলন কম।’
বাংলাদেশের দ্বিতীয় গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান সবচেয়ে বেশি সক্রিয় দাবাড়ু। তিনি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে খেলেন। তাঁর চোখেও আদিবাসীদের কম সম্পৃক্ততা চোখে পড়েছে, ‘ভারতে অনেক জনগোষ্ঠীর বসবাস। সেখানে আদিবাসীদের জাতীয় আন্তর্জাতিক দাবা টুর্নামেন্ট খেলতে দেখিনি। অন্য দেশেও আদিবাসীদের সেভাবে চোখে পড়েনি। রোহিঙ্গা নিয়ে ফিদে (আন্তর্জাতিক দাবা সংস্থা) কাজ করছে সেভাবে আদিবাসী নিয়েও কাজ করতে পারে।’
নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশে গত পাঁচ দশকে পুরুষ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাঁতারুর নাম বলতে পারেননি সাঁতার অঙ্গনের কেউ। অনেকের সঙ্গে আলোচনাক্রমে দুই জন নারী অধিবাসী টিংটিং মে ও ডথুই মারমার নাম পাওয়া গেছে। টিংটিং মে ১৯৮৮-৯৪ সাল পর্যন্ত সাঁতার অঙ্গনে ছিলেন। জাতীয় পর্যায়ে পদকও রয়েছে। ডথুই জুনিয়র পর্যায়ে বেশ কয়েকটি রেকর্ড করেছেন। দুই সাবেক সাঁতারু ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের সাঁতারে সম্পৃক্ততা নিয়ে বলেন, ‘অনেকে সাঁতারে আগ্রহী রয়েছে কিন্তু সুযোগ এবং সুবিধার অভাবে আসতে পারে না। এর পাশাপাশি আর্থিক অনিশ্চয়তাও আরেকটি কারণ।’ মাদার অফ অল ডিসিপ্লিন খ্যাত অ্যাথলেটিক্সে গল্পটা ভিন্ন। আশি-নব্বইয়ের দশকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের দাপট ছিল ট্র্যাক এন্ড ফিল্ডে। রাঙামাটির শর্মিলা রায় এসএ গেমসেও পদক জিতেছেন। শর্মিষ্ঠা, স্মরণিকাসহ অনেকেই ছিলেন প্রতিষ্ঠিত নাম। গত দুই দশকে নেই কোনো আদিবাসী। এর কারণ সম্পর্কে সাবেক অ্যাথলেট শর্মিষ্ঠা রায় বলেন, ‘আমার বাবা আশির দশকেই আমাদের বিদেশি বুট, স্টার্টিং ব্লক দিয়েছেন। বাবা ও পরিবারের কারণে আমরা দুই বোন অ্যাথলেট হয়েছি। এখনকার বাবা-মায়েরা বাচ্চাদের খেলার বিষয়ে তেমন আগ্রহী না আবার ফেডারেশন /সংস্থাগুলোও তেমন উদ্যোগী নয়। তাই অ্যাথলেটিক্সে আদিবাসী আসছে না।’ শর্মিষ্ঠা – শর্মিলার বাবা পার্থিব রায় ছিলেন রাঙামাটির চাকমা রাজার বংশধর। অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্ষীয়ান সংগঠক ফারুকুল ইসলাম আদিবাসীদের পুনরায় অ্যাথলেটিক্সে ফেরানোর তাগিদ অনুভব করে বলেন, ‘অ্যাথলেটিক্সে তাদের খুব প্রয়োজন। আদিবাসীদের শারীরিক সক্ষমতা অ্যাথলেটিক্স উপযোগী। আদিবাসীদের পুনরায় অ্যাথলেটিক্সে ফেরানোর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।’
দেশের আরেক জনপ্রিয় খেলা ফুটবলে সময়ের ব্যবধানে জাতীয় দল ও শীর্ষে লিগে আদিবাসীরা আসছে। আরেক শীর্ষ খেলা হকিতে গত এক যুগে আদিবাসী মাত্র একজনই জাতীয় দলে। দিনাজপুরের পুস্কর ক্ষিসা মিমো হকিতে সাম্প্রতিক সময়ে আদিবাসী সংকট সম্পর্কে বলেন, ‘লুসাই পরিবার হকিতে দীর্ঘদিন খেলেছে। এরপর হকি ফেডারেশন ২০০২-০৩ সালের দিকে আদিবাসী হকি টুর্নামেন্ট করেছিল। সেখান থেকে কিছু খেলোয়াড় ঘরোয়া লিগে এসেছে। এখন ফেডারেশন নিয়মিত লিগই করতে পারে না তরুণরা তাই আকৃষ্ট হয় না। আবার বিকেএসপিতে আদিবাসী কয়েকজন আছে তারা সেই মানের না হওয়ায় ঘরোয়া লিগ খেললেও জাতীয় দলে আসতে পারছে না।’ মনস্তাত্ত্বিক খেলা শুটিংয়ের বর্তমান জাতীয় ক্যাম্পে তিনজন নারী আদিবাসী শুটার রয়েছেন। গত দেড় দশকে পুরুষ আদিবাসী শুটার আসেনি। আদিবাসীরা দৈহিক নির্ভর খেলায় বেশি ভালো এই মন্তব্যের সঙ্গে একমত নন সাবেক তারকা শুটার ও কোচ সাইফুল আলম রিংকি,‘শুটিংয়ে মানসিক চাপটা শরীরের উপরও পড়ে। ফলে এখানেও শারীরিক সক্ষমতার ব্যাপার রয়েছে। আদিবাসীদেরও শুটিংয়ে ভালো করার সম্ভাবনা রয়েছে।’ বাংলাদেশে মনস্তাত্ত্বিক খেলার মধ্যে এখন সবচেয়ে আলোচিত আরচ্যারি। সেই আরচ্যারির বর্তমান ক্যাম্পে কোনো আদিবাসী আরচ্যার নেই। ফেডারেশনের সহকারী সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম কিরণ বলেন, ‘আরচ্যারির শুরুর দিকে আদিবাসী আরচ্যার ছিল। এখন সংখ্যাটা কম। কয়েকজন আছে তারা জাতীয় দলে যাওয়ার আসার মধ্যে থাকে।’ জাতীয় খেলা কাবাডিতে পুরুষ আদিবাসী খেলোয়াড় নেই। এশিয়ান গেমস খেলে আসা নারী দলে ছিলেন ২ জন। হ্যান্ডবল, ভারোত্তোলন সহ আরো কয়েকটি খেলায় পুরুষ না থাকলেও নারী আদিবাসী ক্রীড়াবিদ রয়েছে। পুরুষের তুলনায় নারীদের ক্রীড়াঙ্গনে বেশি আসার কারণ সম্পর্কে মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরুপা দেওয়ান বলেন, ‘নারীরা তুলনামূলক বেশি পরিশ্রমী। সব খেলাধুলাই পরিশ্রম নির্ভর। তাই নারীরা একটু এগিয়ে।’ নিরুপা দেওয়ানের সঙ্গে একমত পোষণ করে শর্মিষ্ঠা রায় বলেন, ‘কিছু সামাজিক সংস্কৃতির কারণে চাকমা সমাজে নারীরা একটু বেশি পরিশ্রমী তাই ক্রীড়াঙ্গনে চাকমা নারীও বেশি।’
খেলায় বর্তমানে সিনিয়র জাতীয় দলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অবস্থান
ক্রিকেট: পুরুষ ও মহিলা উভয় দলেই নেই (অ-১৯ লেকি চাকমা)
ফুটবল: পুরুষ ১ জন, নারী ৮ জন হকি: ১ জন (পুষ্কর ক্ষিসা মিমো)।
ভলিবল: পুরুষ নেই, মহিলা ১ জন ( মাসিন্দা) ব্যাডমিন্টন- মহিলা নেই, পুরুষ ১ জন ( গৌরব সিংহ)। কাবাডি : পুরুষ নেই। নারী দুই জন। শুটিং – তিন জন (নারী ) দাবা, টেনিস, বাস্কেটবল, অ্যাথলেটিক্স, সাতার, আরচ্যারির বর্তমান জাতীয় দলে নেই কোনো ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী। তায়কোয়ান্দো, জিমন্যাস্টিক্স, কারাতে, উশু, টেবিল টেনিসে নারী ও পুরুষে রয়েছেন বেশ কয়েকজন।
* ধারাবাহিকের দ্বিতীয় পর্বে থাকবে কয়েকটি খেলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী নির্ভরতা এবং নানা সংকটের মধ্যে ক্রীড়াঙ্গনে তাদের অবদান।