বৃহস্পতিবার, ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দিনাজপুরে 

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দিনাজপুরে 
 দিনাজপুর প্রতিনিধি  দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দিনাজপুরে আট দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি বছরে এটি জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। কনকনে ঠান্ডায় নাকাল জনজীবন। মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কবলে উত্তরের জেলা দিনাজপুরে গত তিনদিন ধরে কুয়াশার মেঘে সূর্য ঢাকা থাকায়  আর হিমেল বাতাসের দাপটে বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে পড়েছে এ জেলার মানুষ। শীতের সকালে ছিন্নমূল আর গ্রামের মানুষেরা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। বেশি বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া শ্রমজীবী  মানুষেরা । সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন গুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলাচল করতে দেখা যায়। দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা  ৮  দশমিক ৮  ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আদ্রতা ছিল  ৯৭ শতাংশ।  চলতি বছরে এটি জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা জনপথ । সকাল থেকে বিরাজ করছে মেঘাচ্ছন্ন পরিবেশ। শীতের তীব্রতা উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে কাজে বেড়িয়েছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ।  এদিকে তীব্র শীতের কারণে হাসপাতাল গুলোতে নিউমোনিয়া, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত  রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ বয়োজ্যেষ্ঠরা।  পত্রিকা বিক্রেতা আব্দুল আজিজ জানান তীব্র শীতের কারণে মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না। সাধারণ মানুষ শীতে কাঁপছে। তারপরেও শীত উপেক্ষা করে জীবন জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হতে হচ্ছে।  বিত্তবান ও এলাকার প্রতিনিধিদের আহব্বান জানাই তারা যেন গরিব অসহায়দের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করে মানুষের কষ্ট লাঘব করে। হোটেল ব্যবসায়ী লাবু ইসলাম জানান গত কয়েকদিন থেকে দিনাজপুরে প্রচুর শীত পড়েছে। শীতের কারণে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। কর্মজীবী মানুষের আয় রোজগার কমে যাওয়ায় পড়েছে বিপদে। এরকম শীত অব্যাহত থাকলে কি যে হবে আল্লাহই ভালো জানেন।  দিনাজপুর জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, দিনাজপুর জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। শনিবার সকাল ৯ টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা  ৮  দশমিক ৮  ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আদ্রতা ছিল  ৯৭ শতাংশ। চলতি বছরে এটি  জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। গত তিনদিন  ধরে ঘন কুয়াশার কারণে দেখা মিলছে না সূর্যের। গতকাল শুক্রবার বিকেলে সামান্য রোদ দেখা গেলেও সে রোদে ছিল না উষ্ণতা। উত্তর-পূর্ব বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে  বায়ু প্রবাহিত হওয়ার কারণে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সপ্তাহে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা আরো কমে যেতে পারে।
বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন