শুক্রবার, ১০ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

স্থান সংকট মধ্যপাড়া খনিতে পাথর উৎপাদন বন্ধ

স্থান সংকট মধ্যপাড়া খনিতে পাথর উৎপাদন বন্ধ

পার্বতীপুর (দিনাজপুর) থেকেঃ দিনাজপুরের পার্বতীপুরে মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড (এমজিএমসিএল) থেকে উৎপাদিত পাথর রাখার জায়গা না থাকায় খনির উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। স্থান সংকটের কারণে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পাথর উৎপাদন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি)। এর আগে বিষয়টি লিখিতভাবে এমজিএমসিএলকে জানিয়ে দেওয়া হয় এবং গত বুধবার নোটিশ টাঙ্গিয়ে শ্রমিক-কর্মচারীদের অবহিত করা হয়। পাথর উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জিটিসি’র অধীনে কর্মরত প্রায় সাতশত খনিশ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, প্রতিমাসে উৎপাদন বাড়লেও পাথর বিক্রিতে গতি নেই। মাসে প্রায় দেড়লাখ টন পাথর উৎপাদনের বিপরীতে বিক্রি হয় ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টন। প্রতিমাসে বিক্রির লক্ষমাত্রা দেড়লাখ টন। লক্ষমাত্রা অনুযায়ী বিক্রি না হওয়ায় খনি ইয়ার্ডে ধারণ ক্ষমতার প্রায় দ্বিগুন বিভিন্ন আকারের প্রায় ১০ লাখ টন পাথরের বিপুল পরিমাণ মজুদ গড়ে উঠেছে। দাম কমিয়েও পাথর বিক্রি বাড়াতে পারেনি খনি কর্তৃপক্ষ।
তবে উৎপাদন ঠিকাদার জিটিসি, পাথর ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠান ও কয়েকজন ডিলারের সাথে কথা বলে জানা গেছে- ভারত, ভুটান থেকে আমদানী করা পাথরের দাম কম কিন্তু মধ্যপাড়ার পাথরের দাম বেশী। ফলে ক্রেতারা আমদানীর দিকে ঝুকে পড়ে। পরে দাম কিছুটা কমালেও বিক্রি বাড়েনি।
মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানী লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবু দাউদ মোঃ ফরিদুজ্জামান পাথর উৎপাদন বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান- খনি ইয়ার্ড থেকে পাথর অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। খুব শিগগির পাথর রাখার জায়গার ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ২৫ মে মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনি বাণিজ্যিক উৎপাদনে যায়। উৎপাদন শুরুর পর থেকে নানা প্রতিকুলতার কারণে পেট্রোবাংলা প্রতিদিন ৫ হাজার মে.টন ল্যমাত্রার বিপরীতে ৭-৮’শ মে.টনের বেশী পাথর উত্তোলন করতে পারেনি। ২০১৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারী ৬ বছরের জন্য খনির উৎপাদন ও রনাবেণের দায়িত্ব দেওয়া হয় জার্মানিয়া ট্রেস্ট কনসোর্টিয়ামকে (জিটিসি)। জিটিসি প্রতিদিন ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টন পাথর উত্তোলন করে আসছে। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে এমজিএমসিএল প্রথমবারের মত লাভের মুখ দেখে। জিটিসি’র প্রথমদফা চুক্তির মেয়াদ শেষ হয় ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর। দ্বিতীয় দফা চুক্তির আওতায় ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর থেকে পাথর উৎপাদন করছে। দ্বিতীয়দফা চুক্তি অনুযায়ী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ৬ বছরে ৮৮ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন পাথর উত্তোলন করে দিবে।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন