বন্ধুদের প্ররোচণায় বোরকা পরে গার্লস স্কুল যায় সেই কিশোর
মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : নাটোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে বোরকা পরে ঢুকেছিল পাশের সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র সাদমান সাকিব (১৫)। বিষয়টি জানার পর ওই কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। আটকের সময় উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে ওই তরুণের ধস্তাধস্তি হয়। গতকাল বুধবার দুপুরে ঘটে যাওয়া ওই ঘটনার একটি ভিডিও মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপরেই জেলা জুড়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা- সমালোচনার সৃষ্টি হয়। প্রশ্ন জাগে কেন বোরকা পরে গার্লস স্কুল ঢুকেছিল ওই কিশোর। পুলিশ বলছে, সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সহপাঠীদের প্ররোচণায় বোরকা পরে গার্লস স্কুলে যায় সাদমান। তবে সে কোনো অপরাধ সংঘটিত করতে গার্লস স্কুলে যায়নি। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ বৃহস্পতিবার সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের (বয়েজ স্কুলে) একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নারী চরিত্রে অভিনয় করার কথা ছিল নবম শ্রেণীর ছাত্র সাদমান সাকিবের। গতকাল স্কুলে তার-ই অনুশীলন শেষে বন্ধুদের প্ররোচনায় কৌতূহল বশত সে গার্লস স্কুলে যায় এবং ঢুকতেই পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে আসে। মিজানুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার পর আমরা তদন্ত করে দেখেছি সেখানে অপরাধ জনক কোনো কিছু ছিল না, সম্পূর্ণ কৌতুহল বসত এই ঘটনা ঘটায় ওই তরুণ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতে তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’ প্রসঙ্গত, বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ৩টায় শহরের আলাইপুরে অবস্থিত নাটোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ঘটে যাওয়া ওই ঘটনার ভিডিওতে দেখা যায়, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভেতরে বোরকা পরিহিত একজনকে সন্দেহজনক মনে হলে বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা তাকে ঘিরে ধরে। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানালে এক পুলিশ সদস্য ওই ব্যক্তির কাছে গেলে সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় দুই পুলিশ সদস্যের সঙ্গে তার ধস্তাধস্তি হয়। এ বিষয়ে নাটোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুল মতিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বুধবার বিদ্যালয়ে বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান ছিল। দুপুর আড়াইটার দিকে এক ছেলে বোরকা পরে বিদ্যালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়ে। তার চলাফেরায় সন্দেহ হলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, বিদ্যালয়ে বহিরাগত কোনো পুরুষের ঢোকার কথা নয়। গেটে পুলিশ ছাড়াও দুই শিক্ষক ছিলেন। ওই ছেলের নিশ্চয়ই খারাপ কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে।