বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

গণসংযোগে ব্যস্ত দিনাজপুর-৪ আসনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা.এম আমজাদ

গণসংযোগে ব্যস্ত দিনাজপুর-৪ আসনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা.এম আমজাদ

এস.এম.রকি, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিনাজপুর-৪ (খানসামা ও চিরিরবন্দর) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে ভোটের মাঠে গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন দেশবরেণ্য অর্থপেডিক সার্জন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, এবি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান,  স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. এম আমজাদ হোসেন।

বৃহস্পতিবার (১১মে) বিকেল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত উপজেলার খামারপাড়া ইউনিয়নের গাড়পাড়া সনাতন সংঘ, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী, ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের সহজপুর ও রামকলা হাটে নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় ও হাটে গণসংযোগ করেন। এর আগে বুধবার (১০ মে) চিরিরবন্দর উপজেলার দেবীগঞ্জ,  চম্পাতলী, বেকীপুল ও বিন্যাকুড়ী বাজারে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সাথে গণসংযোগ করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন দুই উপজেলার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন এবং এবি ফাউন্ডেশনের সদস্যরা।

যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. এম আমজাদ হোসেন স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে গৌরব ও মর্যাদাপূর্ণ রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ পুরস্কার “স্বাধীনতা পদক” প্রাপ্ত গুণী এই চিকিৎসক ১৯৫৩ সালের ৫ই জুলাই উত্তরের জেলা দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার দক্ষিণ সুখদেবপুর গ্রামের এক সাধারণ কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মরহুম আব্দুল বাকী মন্ডল এবং মাতার নাম আলহাজ্ব আমেনা খাতুন। অধ্যাপক ডা.এম আমজাদ হোসেন ১৯৬৮ সালে চিরিরবন্দর উচ্চ বিদ্যালয় হতে মাধ্যমিক ও ১৯৭০ সালে দিনাজপুর সরকারী কলেজ হতে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। ছাত্র অবস্থা থেকেই বঙ্গবন্ধুর আর্দশের অনুসারী তিনি ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে তিনি স্বইচ্ছায় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এরপরে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন ১৯৭৮ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হতে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন ও ১৯৮৬ সালে অর্থোপেডিক বিষয়ে এম এস ডিগ্রি অর্জন করেন। চিকিৎসার সুবাদেই দেখা হয় আমেরিকান চিকিৎসক ডা.আর জে গাষ্টের সাথে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করে ডা. গাষ্টের আহবানে সরকারি কাজের পাশাপাশি অবৈতনিক ভাবে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ট্রাষ্টে দায়িত্ব পালন করেন। গুণী এই ব্যক্তি বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের উপদেষ্টা, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সদস্য, বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ), স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ও সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের আজীবন সদস্য, স্বাধীনতা ফাউন্ডেশনের সভাপতি, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা, আন্তর্জাতিক অর্থপেডিক সোসাইটির সহ-সভাপতি, চিরিরবন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সাবেক সদস্য ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ এ্যালামনাই ট্রাস্টের সভাপতি,  বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটির সাবেক সভাপতি, ল্যাবএইড হাসপাতালের অর্থোপেডিক ও আর্থোপ্লাস্টি সেন্টারের চিফ কনসালটেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

অধ্যাপক ডা. এম আমজাদ হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে যেই স্বপ্ন নিয়ে যুদ্ধে গেছিলাম তা বাস্তবায়নে কাজ করছে প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। দেশের এই অগ্রযাত্রায় অংশীদার হতে জনপ্রতিনিধি হিসেবে বৃহৎ পরিসরে কাজ করার লক্ষ্য নিয়ে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী। সেই জন্য দুই উপজেলার তৃণমূলের নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণের সাথে নিয়মিত মতবিনিময় করছি। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও শেখ হাসিনা’র উন্নত বাংলা বিনির্মাণে আমৃত্যু কাজ করে যেতে। তিনি আরো বলেন, নৌকা প্রতীক পেলে দুই উপজেলার নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে অবশ্যই ভোটে বিজয় নিশ্চিত করা হবে।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন