রবিবার, ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

ঈদকে সামনে রেখে গরু বাজারজাত করতে প্রস্তুত খামারীরা

ঈদকে সামনে রেখে গরু বাজারজাত করতে প্রস্তুত খামারীরা
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ  ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজা করণ ও বিশুদ্ধ মাংস উৎপাদনে ব্যস্ত সময় পার করছেন পলাশবাড়ীসহ গাইবান্ধা জেলার খামারিরা। সম্পূর্ণ দেশীয় খাবারের ওপর ভিত্তি করে এসব খামারে কোরবানির পশু লালন-পালন করা হচ্ছে। বাজারমূল্য ঠিক থাকলে এবারও লাভের মাধ্যমে তাদের স্বপ্ন পুরনের আশা খামারিদের।
দেশের উত্তর অঞ্চলের জেলা গাইবান্ধায় গরুর চাহিদা রয়েছে সারা দেশজুড়ে। গাইবান্ধা জেলায় ( ১৬৭৫৯) টি খামারে ছোট বড় মাঝারি আকারের  হলেস্টাইন ফ্রিজিয়াম,শাহিওয়াল, জার্সি, ব্রাউই সুইট, নওরেজিয়ান রেড, লাল,ব্রাহামা  সহ দেশী জাতের গরু বাজারজাতের জন্য প্রস্তুত করছেন খামারীরা।
খামারে কর্মরত শ্রমিকরা বলছেন,প্রতিটি গরুকে সন্তানের মতো লালনপালন করে মোটাতাজা করা হচ্ছে বাজারজাত করার জন্য। আর এদের উত্তম খাবার হিসেবে  খৈল,ভুষি,খড়,সবুজ ঘাস,ভুট্টা গাছের সাইলেন্সার,ছোলা খাবার খাওয়ানো হয়।
খামারীরা বলছেন,প্রাকৃতিক উপায়ে সম্পূর্ণ ষ্টেরয়েড ও ইনজেকশনমুক্ত বিষুদ্ধ গো-খাদ্যের মাধ্যমে বড় করে প্রতিটি গুরুকে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। তবে অনেক খামারীর মতে গোখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে গরুতে লাভ কিছুটা কমে গেছে। এজন্য এবার ঈদের গরুর দাম নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন অনেকে।
গাইবান্ধা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা মো মাহফুজার রহমান বলেন, আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে  জেলায় ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৩৮১ টি গরু  বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করার জন্য খামারীরা প্রস্তুত। এই খামারগুলোকে প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে ভ্যাকসিন এবং চিকিৎসা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে ।সেই সাথে  খামারিদের সঙ্গে যোগাযোগের পাশাপাশি সঠিক পদ্ধতিতে পশু লালনপালন করে যাতে বাজারজাত করতে পারে সেব্যাপারে সুপরামর্শ ও সহযোগিতা করা হয়েছে
বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন