কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গন রোধে এলাকাবাসীর উদ্যোগে বাঁধ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
চিলমারীতে ভাঙ্গন কবলিত চিলমারী ইউনিয়ন রক্ষায় বাম্বু বান্ডেলিং প্রযুক্তি ব্যবহা করে ব্যক্তি উদ্যোগে ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী ইউনিয়নের শাখাহাতি এলাকার পশ্চিম তীরে বাঁধ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়। আজ শনিবার সকালে কাজের উদ্বোধন করেন চিলমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক মো. রুকুনুজ্জামান শাহীন । এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান আজাদ (জামান) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আছমা বেগম চৌধুরী, চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো আমিনুল ইসলাম, থানা হাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো:আ:রাজ্জাক মিলন, উপজেলা সেচ্ছাসেকলীগের আহ্বায়ক আবু হোসাইন সিদ্দিক রানা প্রমুখ। অবহেলিত চিলমারী ইউনিয়নের পশ্চিম তীরে বাঁধ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা পাবে ২টি কমিউনিটি ক্লিনিক, ৭টি সরকারি প্রাথমকি বিদ্যালয়, ১টি জুনিয়র হাই স্কুল ও মসজিদ-মাদ্রাসাসহ কয়েক হাজার বসতবাড়ি এবং হাজার হাজার একর ফসলী জমি। দির্ঘ ২৫ বছর এই ইউনিয়ন এবং পাশ্ববর্তী অষ্টমীরচর ইউনিয়নের প্রায় ৮ হাজার পরিবার একইসঙ্গে বসবাস করে আসছেন । গত বছরের বন্যায় চিলমারী ইউনিয়নের পশ্চিম তীরের প্রায় ১ হাজার একর আবাদি জমি ১২৫ টি পরিবারের বসতভিটা নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়। বসতভিটা এবং আবাদি জমি হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়ে পরিবার গুলো। দীর্ঘদিন ধরে নদী ভাঙ্গণ হলেও ভাঙ্গন রোধে কোন কাজ না হওয়ায় এই ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান এলাকাবাসীর নিকট সহযোগিতা চান। শাখাহাতি এলাকার সুফিয়া বেগম বলেন, হামার এতি যে ভাবে নদী ভাঙে আর কিছু দিন গেইলে হামার ইউনিয়ন বিলিন হইবে তাই হামরা এলাকার মানুষরা বাঁশ গাছ টাকা দিছি। সরকার যেন হামার এতি নজর দেয়। একই ইউনিয়নের বাসিন্দা মাইদুল ইসলাম, মো: নূরবক্ত মিয়া বলেন,আমরা নদী ভাঙ্গনে কারনে আমরা একেবারে নিশ্ব। সরকারিভাবে নদী ভাঙ্গন রোধে কোন কাজ না হওয়ায় আমরা এলাকাবাসী এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিজ উদ্যোগে নদী ভাঙ্গন রোধে কাজ করায় আমরা খুশি। এখন আমরা নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা পাব। রংপুর কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী রোকেয়া ইসলাম বলেন,বাম্বু বান্ডেলিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ বাঁধ তৈরী করা হচ্ছে। আমার বিশ্বাস বাম্বু বান্ডেলিং প্রযুক্তি ব্যাপক ভাবে সফল হবে। এই প্রযুক্তি ব্যবহা করে স্বল্পব্যায়ে নদী ভাঙ্গণ রোধে সফল হবে। চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: আমিনুল ইসলাম বলেন, নদী ভাঙ্গনের কারনে আমার ইউনিয়নের হাজার হাজার পরিবার জেলার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে। এখনও ৪টি ওয়ার্ড নদী ভাঙ্গনের ঝুকির মধ্যে রযেছে । বাঁধ নির্মাণ সম্পূর্ণ হলে আমার ইউনিয়নসহ পাশ্ববর্তী অষ্টমীরচর ইউনিয়নের ৭থেকে ৮হাজার পরিবারসহ শিক্ষা