তিস্তাসেতু গাইবান্ধা কুড়িগ্রামের সেতুবন্ধনে বাস্তবে রুপ পাচ্ছে
গাইবান্ধাঃ ২০১৪ সালে ২৬ জানুয়ারি সেতুটির নির্মাণ কাজের উদ্বোধন হলেও নানা জটিলতা কাটিয়ে নির্মান কাজ শুরু হয় ২০২০ সালে । তিস্তাসেতু গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের সেতুবন্ধন বাস্তব রূপ পাচ্ছে। তিস্তাসেতুতে ভাগ্য খুলতে যাচ্ছে উত্তরের লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার মানুষের ভাগ্যের চাকা। একটু একটু করে সেতুর কাজ যতই শেষ হচ্ছে, ততই আশায় বুক বাধছে তিস্তা পাড়ের মানুষ। জেলার সুন্দরগঞ্জ অংশের হরিপুর থেকে কুড়িগ্রামের চিলমারী পর্যন্ত তিস্তা নদীর উপর নির্মিত হচ্ছে ব্রিজ। সেতুর নির্মাণের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৬৭ কোটি টাকা।সেতুটির ৩১টির মাঝে ২৫টি স্প্যান বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ৬টি স্প্যানের কাজও চলছে দ্রুত গতিতে। সেতুর সাথে নির্মান হচ্ছে ৮৬ কিমি এক্সেস রোড। এ ব্রীজ ব্যবহার করলে কুড়িগ্রাম থেকে গাইবান্ধা হয়ে ঢাকায় পৌঁছতে দূরত্ব কমবে ১৩৪ কিমি। তিস্তা সেতুর কাজ শেষ পর্যায়ে থাকায় আশায় বুক বাঁধছে এলাকার লাখো মানুষ। স্থানীয়দের আশা, এ সেতু অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলার পাশাপাশি রক্ষা করবে নদী ভাঙ্গন থেকেও। শুধু যোগাযোগেই নয় এ কারণে খুলবে কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্যের অপার সম্ভাবনা দ্বার। এ সেতু ব্যবহারে ভারতের সাথের স্থল বন্দরগুলোর মালামালও পরিবহন সহজ হবে। জুন মাস নাগাদ ব্রিজের কাজ শেষের আশাবাদ জানালেন এলজিইডির এ নির্বাহী প্রকৌশলী।