গাইবান্ধায় পাভেল হত্যা মামলার আসামি নারীসহ গ্রেফতার-৩
গাইবান্ধাঃ গাইবান্ধার সদর উপজেলায় নিখোঁজের ৩ দিন পর পরিত্যাক্ত এক বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে শফিকুর রহমান পাভেল (৩৭) নামের এক যুবকের অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় এক নারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি ধারালো দা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন, গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের রঘুনাথপুর এলাকার মৃত মন্টু মিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমান হাবি, জবিউল ইসলামের ছেলে সুজন মিয়া ও শাহ আলমের স্ত্রী অমেলা বেগম। ১৩ মার্চ বুধবার বেলা ১২ টার দিকে গাইবান্ধা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মো. ইবনে মিজান। এর আগে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের রঘুনাথপুর এলাকা থেকে পাভেলের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত শরিফুল ইসলাম পাভেল বল্লমঝাড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ আকন্দের ছোট ছেলে। প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে পলাতক আসামী শাহিন কৌশলে শফিকুর রহমান পাভেলকে ফোন করে শনিবার সন্ধ্যায় তার বাড়িতে ডেকে নেয়। সেখানে জড়িত সকল আসামীদের যোগসাজসে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দেশীয় অস্ত্র ধারালো দা দিয়ে পাভেলের মাথায়, পায়ের উভয় পাশে এবং গোড়ালিতে কুপিয়ে হত্যা করে। এরপর তার লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে একই এলাকার সিরাজুল ইসলামের পরিত্যক্ত বাড়ীর সেপটিক ট্যাংকির ভিতর লুকিয়ে রাখে। পরে শফিকুর রহমান পাভেলের লাশ উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ। ময়না তদন্ত শেষে লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে নিহতের ভাই বাদী হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, আসামীরা হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে এবং হত্যা কান্ডের বিস্তারিত ও অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামীদের নাম ঠিকানা প্রকাশ করেছে।
প্রেস বিফিং এ গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মো. ইব্রাহিম হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, সদর থানার ওসি মো. মাসুদ রানা, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সেরাজুল হক, এসআই মাহিদুল ইসলামসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।