দেশী ধান ভারতীয় মোড়কে প্যাকেটজাত করে বিক্রির চেষ্টা আটোয়ারীতে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার ভারতীয় ধানের বীজ উদ্ধার
আটোয়ারী (পঞ্চগড়) সংবাদদাতা: পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে দেশী ধান পান পাতা ব্রান্ডের ভারতীয় মোড়কে প্যাকেটজাত করে বিক্রির উদ্দেশ্যে বাজারে নেয়ার সময় জনগন কর্তৃক ৩৮ বস্তা ধানের বীজ আটক করার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন তাৎক্ষনিকভাবে সোমবার (১লা মে) রাতে এক অভিযান পরিচালনা করেন। প্রায় ৬ ঘন্টা অভিযানে
পাঁচ লক্ষাধিক টাকার ধান বীজ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মুশফিকুল আলম হালিমের নেতৃত্বে সোমবার রাত ৯টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত ফকিরগঞ্জ বাজারের আপন বীজ ভান্ডারের মালিক আনিছুর রহমান লেবুর বাড়ি, দোকান ও গোডাউনে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে ভারতীয় বিভিন্ন কোম্পানীর মোড়কে ১শ ১১ বস্তা ধানের বীজ উদ্ধার করেন। এর মধ্যে ৭৩টি বস্তার প্রতি বস্তায় ভারতীয় মোড়কে ৮ প্যাকেট বীজ বস্তাবন্দি ছিল। এতে ৫৮৪ প্যাকেট বীজ জব্দ করা হয়। প্রতি প্যাকেটে ৬ কেজি করে বীজ ছিল। এছাড়াও আরো ৩৮টি বস্তায় ৩৮ মন বীজ ছিল। বীজগুলোর আনুমানিক মুল্য ধরা হয় প্রায় পাঁচ লাখ টাকা। অভিযান শেষে ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া সহ তার লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।
অভিযানে আটোয়ারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরজাহান খাতুন, পঞ্চগড় জেলা পরিষদ সদস্য ও ফকিরগঞ্জ বাজার বনিক সমিতির সভাপতি কমলেশ চন্দ্র ঘোষ, রাধানগর ইউপি চেয়ারম্যান আবু জাহেদসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্ধারকৃত ধানের বীজগুলো ফকিরগঞ্জ বাজার বনিক সমিতির সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের জিম্মায় রাখা হয়েছে। অভিযানের খবর পেয়ে বীজ ব্যবসায়ী আনিছুর রহমান লেবু পালিয়ে গেছেন।
কমলেশ চন্দ্র ঘোষ ও চেয়ারম্যান আবু জাহেদ জানান, রাত ৯টা থেকে তিনটা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। জব্দকৃত বীজগুলো আমাদের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
আটোয়ারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরজাহান খাতুন বলেন, ভারতীয় মোড়কে ধানের বীজগুলো আমদানি করা হয়েছে কিনা, কিভাবে আনা হয়েছে তা আমাদের এখনও কাগজপত্র দেখাননি। বৈধ কাগজপত্র না থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুশফিকুল আলম হালিম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনাকালে ওই ব্যবসায়ীর বাসা, দোকান ও গোডাউন থেকে ভারতীয় বিভিন্ন কোম্পানীর মোড়কে ধানের বীজের ১১১টি বস্তা উদ্ধার করা হয়। দোষী ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।