রবিবার, ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

টি-বাঁধের কোল ঘেষেই বালু উত্তোলন, হুমকীতে বাঁধসহ ফসলি জমি!

টি-বাঁধের কোল ঘেষেই বালু উত্তোলন, হুমকীতে বাঁধসহ ফসলি জমি!

উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ  কুড়িগ্রামের উলিপুরে তিস্তা নদী বেষ্টিত গুনাইগাছ ইউনিয়নের নাগড়াকুড়া এলাকায় তিস্তার বাম তীর বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ রক্ষায় টি-হেড (গ্রোয়েন) ঘেষে ভোর ৫টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত কোঁদাল ও বেলচা দিয়ে গর্ত করে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চালানো হচ্ছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করে চলছে। টি-বাঁধের কোল ঘেষে গর্ত করে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকীর মুখে পড়েছে প্রায় দশ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত টি-বাঁধটি। স্থানীয় অসাধু দুষ্টচক্র বালু ব্যবসায়ী শাহানুর আলম ওরফে ফুলু সরকার বাঁধ এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করে তার নিজস্ব দুইটি ট্রাক্টর যোগে বিভিন্ন এলাকায় রমরমা ব্যবসা চালাচ্ছে। জানা গেছে, নাগড়াকুড়া টি-বাঁধটি ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে প্রায় দশ কোটি টাকা ব্যয়ে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ২০১৭ সালে নির্মাণ কাজ শেষ করে। এটি ছিল এ এলাকার তথা পুরো উলিপুর উপজেলার ভ্রমণকারীদের একমাত্র স্থান। বাঁধটির কারণে উক্ত এলাকার কয়েক হাজার মানুষ নদী ভাঙন হতে রক্ষা পায়। ২০১৮ ও ২০১৯ সালের বর্ষায় এটির ব্যপক ক্ষতি হয়, ঐ সময়ে বাঁধটির প্রায় এক চতুর্থথাংশ যায়গা ভেঙে যায়। এটি ভেঙে গেলে প্রায় ৪০হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং সাথে অভাবনীয় ক্ষতির মুখে পরবেন কয়েক হাজার দরিদ্র ও হত দরিদ্র পরিবার যাদের বেশির ভাগেরই ভিটে বাড়ি টুকু ছাড়া অবশিষ্ট কিছুই নেই। এলাকার একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বালু ব্যবসায়ী দুষ্টচক্র ফুলু টি-বাঁধের কাছ থেকে যেভাবে পুকুর কাটার মতো গর্ত করে বালু উত্তোলন করছে তাতে বর্ষার মৌসুমে টি-বাঁধটি ভেঙে পড়ে বড় ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। তারা আরো জানান, প্রতিদিন ১২ থেকে ১৪ ট্রাক্টর বালু উত্তোলন করছে। এতে টি-বাঁধসহ চরাঞ্চলের আবাদি জমিগুলো হুমকিতে পড়েছে। বালু ভর্তি ট্রাক্টরগুলো রাস্তা দিয়ে যাওয়ায় রাস্তাটি বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে গ্রামীণ রাস্তাটি দিনদিন চলাচলের অযোগ্য হয়ে যাচ্ছে। অভিযুক্ত শাহানুর আলম ফুলু সরকার বলেন, জমি সমান করার জন্য কিছু গাড়ী বালু কাটা হয়েছে। এ ছাড়াও পেঁয়াজ চাষিরা পেঁয়াজ ক্ষেতের জন্য কিছু গাড়ী বালু নিয়েছে। অথচ তিনি উল্টো দাবী করেন টি-বাঁধে আমার ৪/৫ একর জমি গিয়েছে তার মূল্যেতো সাংবাদিকরা আদায় করে দিতে পারেন না। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলে, টি-বাঁধের কাছ থেকে বালু উত্তোলন করায় টি-বাঁধটি হুমকীর মুখে রয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আতাউর রহমান বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের

বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন