শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন চা বাগানে প্রকল্প পরিদর্শনে নেদারল্যান্ডের প্রতিনিধি দল
চা বাগানের শ্রমিকদের সাথে হেসে খেলে আনন্দে তিন দিন কাটালেন নেদাল্যান্ডের তিন উন্নয়নকর্মীসহ সিমাভীর কান্টি কর্ডিনেটর ও অনান্য কর্মকর্তারা।
তারা গত শনিবার, রবিবার ও সোমবার মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন চা বাগানে নেদারল্যান্ড সরকারের অর্থায়নে সিমাভী সংস্থার মাধ্যমে আইডিয়া ওয়াটারএইড পরিচালিত প্রকল্প পরিদর্শন করতে আসেন। এ সময় তারা চা শ্রমিকদের জীবনমানের উন্নয়ন, অভ্যাসগত পরিবর্তন, স্বাস্থ্য সচেতনতা, নিরাপদ পানি পানসহ বিভিন্ন বিষয় পর্যবেক্ষন করেন। পরে তারা শ্রীমঙ্গল রাজঘাট চা বাগানের নাট মন্দিরে ওয়াস ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহন করে চা শ্রমিকদের সাথে ঝুমুর নৃত্যে ও ধামাইল পরিবেশনায় অংশ গ্রহন করেন।
সিমাভী কান্টি কোডিনেটর অলক কুমার মজুমদার বলেন, এসডিজি-৬ এর লক্ষমাত্রা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জেলায় এ কাজ চলছে। যা বাস্তবায়ন সহযোগীতা করছে নেদারল্যান্ডের সিমাভী।
এ সময় নেদারল্যান্ডস থেকে আগত সিমাভীর পরিচালক ফান্ড রেইজিং- ভারলী, এডভোকেসি অফিসার সাসকিয়া ও প্রোগ্রাম ম্যানেজার ইসিন বলেন, চা শ্রমিকরা খুবই সরল মানুষ। তাদের সুন্দর কিছু সংস্কৃতি রয়েছে। স্যানিটেশন সচেতনতায় তাদরে অগ্রগতি লক্ষনীয়। তবে তাদের নিয়ে আরো কাজ করার প্রয়োজন রয়েছে।
এ সময় ওয়াটারএইড এর বাংলাদেশ প্রজেক্ট কোডিনেটর কে এ আমিন বলেন, আইডিয়া ওয়াটারএইড বাংলাদেশের সহযোগিতায়, সিমাভীর অর্থায়নে শ্রীমঙ্গল উপজেলার রাজঘাট, ,কালিঘাট ও সাতগাঁও ইউনিয়নের রাজঘাট চা বাগান, লাখাইছড়া চা বাগান ও হুগলীছড়া চা বাগান ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ওয়াশ (ওয়াটার, স্যানিটেশন ও হাইজিন) অবস্থার উন্নয়নে ডিসেম্বর ২০২০ থেকে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে)। প্রকল্পটি অত্র উপজেলায় চা জনগোষ্ঠীর ওয়াশ বিষয়ে উদ্বুদ্ধকরন, অভ্যাসগত পরিবর্তন, স্থানীয় সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এর প্রয়োগ, ওয়াশ খাতে বাজেট বরাদ্ধ বৃদ্ধি, দক্ষতা উন্নয়নসহ সার্বিক অগ্রগতির উপর কাজ করছে। তিনি বলেন এই কাজের ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় লক্ষনিয় সাফল্য এসেছে। যা বিদেশী প্রতিনিধিগন দিন ব্যাপী পর্যবেক্ষন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন।