শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, যার রেজি নং-৩৬)

আদমদীঘিতে রেলওয়ের স্থাপনা ভেঙে এলজিইডি’র রাস্তা সংষ্কার

আদমদীঘিতে রেলওয়ের স্থাপনা ভেঙে এলজিইডি’র রাস্তা সংষ্কার

এএফএম মমতাজুর রহমান
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি:
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারে রেলওয়ের জায়গার গাছ কর্তন ও স্থাপনা ভেঙে রাস্তা সংষ্কার করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। গত কয়েকদিন ধরে ১৯০ মিটার এই রাস্তার কাজ চলছে। এতেকরে কর্ম হারিয়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় পাঁচটি পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়নের ছাতনী হেলালিয়া হাটে। রেল কর্তৃপক্ষ বলছেন অফিসিয়াল ভাবে তাদের থেকে অনুমোদন নেওয়া হয়নি। এরপরেও রাস্তার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

জানা যায়, উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়নের হেলালিয় হাটে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) আওতায় ২৯ লাখ ৫৩ হাজার টাকা ব্যয়ে ১৯০ মিটার একটি আঞ্চলিক রাস্তা কার্পেটিং ও সংষ্কার কাজ শুরু হয়। গত বৃহস্পতিবার এ সংষ্কার কাজের উদ্বোধন করেন সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাহিদ সুলতানা তৃপ্তি। উদ্বোধনের পর তার নেতৃত্বে উপস্থিত থেকে মূল ফটকে দুই পাশে ৩০ ফিট ও মধ্যেস্থান থেকে ১৮ ফিট চওড়া করা হচ্ছে। যার মধ্যে রেলওয়ের জাগয়ার ৩টি গাছ ও প্রায় ৫ দোকান এক্সেভেটর (ভেঁপু) দিয়ে ভেঙে ফেলার আদেশ দেন তিনি। আইনের নীতিমালা অনুযায়ী এক দপ্তর, আরেক দপ্তরের অনুমতি বিহীন কোন কার্যক্রম করতে পারবেনা। অথচ নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে এ কাজটি করা হচ্ছে। এতেকরে কর্মহীন হয়ে পড়ছে ৫ টি পরিবার। সন্তানদের নিয়ে তারা রয়েছেন বিপাকে। জনস্বার্থে আঞ্চলিক রাস্তার উন্নয়ন হলেও জীবিকার পথ যে আমাদের থেমে গেলো এমন টাই বলছেন ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগী শাহিন, উজ্জ্বল ও মতিউর রহমান জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমরা রেলওয়ের জায়গায় দোকান ঘর করে জীবিকা নির্বাহ করছিলাম। পরিবার নিয়ে ভালোই চলছিল। রাস্তার কাজ শুরু হবার পর আমাদের দোকান ভেঙে ফেলা হয়েছে। জনসাধারণের সুবিধা হলেও আমাদের পেটে লাথি মারা হলো। এখন আমরা কর্মহীন। এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।
সান্তাহার রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (কার্য) আব্দুর রহমান জানান, রেলওয়ের জায়গা উচ্ছেদ করে এলজিইডির রাস্তা সংষ্কার করার নিয়ম নেই৷ তাছাড়া এ বিষয়ে আমাদের থেকে কোন অফিসিয়াল ভাবে কোন অনুমোদন নেওয়া হয়নি। বিষয়টি দেখছি।
আদমদীঘি উপজেলা প্রকৌশলী রিপন কুমার জানান, কিছু অংশ রেলের তা আমার জানা ছিলোনা। উচ্ছেদের বিষয়টি আমাদের অবগত করা হয়নি। যেটুকু রেলের জায়গা ওটা বাদ দিয়ে রাস্তা করা হবে।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন