বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

বিয়ে বাড়ির খাবারে চেতনানাশক মিশিয়ে মালামাল লুট, ১৬ জন হাসপাতালে

বিয়ে বাড়ির খাবারে চেতনানাশক মিশিয়ে মালামাল লুট, ১৬ জন হাসপাতালে

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে একটি বিয়েতে দুই পরিবারের ১৬ সদস্যকে অজ্ঞান করে মালামাল লুটে করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় পরিবারের সদস্যদের শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। মোরেলগঞ্জ উপজেলার বানিয়াখালী বাজার সংলগ্ন এলাকার হাবিবুর রহমান ও নারায়ণ চকিদারের পরিবারে এই ঘটনা ঘটেছে। এদের মধ্যে অন্তত ৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। হাসপাতালে ভর্তি অসুস্থ রোগীরা হলেন, হাবিবুর রহমান (৬৫), শাহ আলম (৭০), ফিরোজা বেগম (৫০), আখি আক্তার (২০), মারিয়া আক্তার (২২), হাদান হাওলাদার (২৮), আশরাফুল (১২), নাইম হাওলাদার (২৬), শাফিকুল (১০), ফেরদৌসি আক্তার (৩০), হিরা আক্তার (২০), শাফিয়া আক্তার (২০) এবং আরেক পরিবারের নারয়ণ চন্দ্র (৭০), শ্যামলী রানী (৬০), জীবন (৩২) শম্পা (২৭)। তাদের মধ্যে অন্তত সাতজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক রয়েছে। হাবিবুর রহমানের পরিবারের দাবি, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাতে মোরেলগঞ্জ উপজেলার বানিয়াখালী বাজার সংলগ্ন হাবিবুর রহমার তোতা মিয়ার মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই সুযোগে দুর্বৃত্তরা হয়ত খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক মেশায়। সেই খাবার খেয়ে নববিবাহিত জামাই-মেয়েসহ পরিবারের ১২ সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়েন। চেতনানাশক মেশানো খাবার খেয়ে হাবিবুর রহমানের প্রতিবেশী নারায়ণ চন্দ্রের বাড়ির চার সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। দুই বাড়ি থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে কি পরিমাণ স্বর্ণালংকার ও টাকা খোয়া গেছে সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি পরিবারগুলো। হাবিবুর রহমানের আত্মীয় মনির তালুকদার বলেন, ১৫ এপ্রিল হাবিবুর রহমানের মেয়ের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে হয়। আমার ছেলে ও ছেলের বউসহ বেশকিছু আত্মীয়স্বজন হাবিবুর রহমানের বাড়িতেই ছিল। সকালে অচেতন অবস্থায় সবাইকে আমরা হাসপাতালে ভর্তি করেছি। বাড়ির সবকিছু লুট করে নিয়ে গেছে তারা। বাসায় বেশিকিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ ৫ লক্ষাধিক টাকা ছিল। কিছুই আর পাওয়া যায়নি। সবাই সুস্থ হলে কি পরিমাণ মালামাল খোয়া গেছে তা জানা যাবে। নারায়ণ চন্দ্রের ছেলে জীবন চন্দ্র বলেন, কীভাবে কি হলো জানি না। বাবা-মা এখনও সুস্থ হয়নি। আমরা মালামাল ফেরত চাই। শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আশফাক আহমেদ বলেন, দুটি পরিবারের ১৬ জন অসুস্থ অবস্থায় এসেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এদেরকে চেতনানাশক খাওয়ানো হয়েছে। এদের মধ্যে ৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামছউদ্দিন বলেন, ঘটনা শুনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন