রবিবার, ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

হাবিপ্রবি সংলগ্ন দোকান ও হোটেল বন্ধের প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধ “

হাবিপ্রবি সংলগ্ন দোকান ও হোটেল বন্ধের প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধ “
হাসনাত সানি,
হাবিপ্রবি প্রতিনিধি
পবিত্র ইদুল ফিতরের পর অস্বাভাবিক ভাবে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ( হাবিপ্রবি )  সংলগ্ন বাঁশেরহাটে দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে যায়। আর এতে করে ক্ষুদ্ধ হয়ে পরে হাবিপ্রবি পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, পণ্যের গুনগত মান যাচাই সহ বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৮ই মে ভোক্তা অধিকার বিশেষ অভিযান চালায় বাঁশেরহাটে।
এই অভিযানকে হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা স্বাগত জানালেও বাঁশেরহাট মালিক সমিতি ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান। পূর্ব  ঘোষণা ছাড়াই শনিবার ( ১৩ মে) সকাল থেকে বাঁশেরহাটের সকল দোকান বন্ধ রেখেছে  অনির্দিষ্টকালের জন্য। এতে করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যায় শিক্ষার্থীদের মাঝে।
প্রতিবাদের  অংশ হিসাবে শিক্ষার্থীরা কিছু সময়ের জন্য রংপুর – দিনাজপুর মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
দোকাল মালিক সমিতির সদস্য মোঃ ছাদিক ইসলাম জানান, ” ভাতের দাম ও ডালের দাম ৫ টাকা করে বাড়ানোর জন্য শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছে। আর বাকি সব জিনিসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে “। এসময় অন্যান্য জিনিসের দাম বাড়ানো ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
তবে এই সংকট দীর্ঘস্থায়ী হলে হোটেল ব্যাবসায়ী ও কাঁচামালের ব্যাবসায়ীরা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে সংশয় প্রকাশ করেন মোঃ ছাদিক ইসলাম। তিনি বলেন, ” আজ কর্মীরা কাজে এসেও  কাজ করতে পারছে না। এভাবে কয়েকদিন চলতে থাকলে কর্মীরা চাকরি ছেড়ে দিতে পারে বলে তিনি গণমাধ্যমকে জানান “।
অন্যদিকে হাবিপ্রবি পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা নুফা নুসরাত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ” এক প্লেট ভাতের দাম  ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা করছে, একটা পরাটা ডালসহ ১৫ টাকা, মুরগি – মাছের তরকারি তো ৪০ এর নিচে নাই । খাবারের মান অনেক নিম্ন। কাঁচা সবজির দাম বাড়ছে।
এদের বয়কট করতে হবে “।
সাজিয়া আফ্রিন লিখেছেন, ”  একটা সিস্টেম করা উচিত যেনো কোন শিক্ষার্থী বাঁশেরহাট থেকে খরচ না করে অন্তত কিছুদিন।  বিষয়টি কঠোরভাবে পরিচালনা করা উচিত যাতে বাঁশেরহাটে শিক্ষার্থীদের খরচ করা বন্ধ থাকে। দোকান খোলা থাকলেও কয়েকদিন কেউ কোন পণ্য কিনবে না দোকান থেকে । শিক্ষার্থীরা এক হলে দোকানদাররা পারবে না আমাদের সাথে।  কিন্তু সমস্যা সেই এক জায়গায় আমাদের নিজেদের মধ্যে কোনো একতা নেই “।
উল্লেখ্য যে, দিনাজপুর শহরের চেয়ে বাঁশেরহাটের দ্রব্যমূল্যের দাম কিছুটা অসঙ্গতি দেখা যাচ্ছে। আর এতেই প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে হাবিপ্রবি জুড়ে।
বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন