শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

নাটকীয় ভঙ্গিতে ভূমিহীন সেজে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পাকা স্থাপনা দখল, উচ্ছেদ নোটিশেও নড়ছে না টনক

নাটকীয় ভঙ্গিতে ভূমিহীন সেজে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পাকা স্থাপনা দখল, উচ্ছেদ নোটিশেও নড়ছে না টনক
জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ পৈতৃক ভিটা-মাটি থাকা শর্তেও নাটকীয় ভঙ্গিতে ভূমিহীন সেজে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত পাকা স্থাপনা অবৈধভাবে জোরপূর্বক দখল করে যুগের পর যুগ ধরে বসবাসের অভিযোগ উঠেছে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে। নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার খালিশা চাঁপানীর পুর্ন্নারঝাড় এলাকার ফজলুল হকের একমাত্র ছেলে মশিউর রহমান ডালিয়া পওর বিভাগের নির্মিত পাকা স্থাপনা অবৈধ ভাবে দখল করে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন। এ নিয়ে একাধিক বার নোটিশ দিলেও টনক নড়াতে পারেনি দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা। ডালিয়া পওর শাখা-১ এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাসেম আলী গত ১৪/০৩/২০২৪ইং তারিখে সরকারি স্থাপনায় অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী ব্যক্তিকে দখল ছেড়ে দেয়ার একটি লিখিত নোটিশ জারি করেছেন। নোটিশে দেখা যায়, তিস্তা প্রধান খালের ধুম ছাইপুনের পার্শ্ববর্তী জায়গায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সরকারি পরিত্যক্ত বিল্ডিং ও গাছপালা রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য নির্বাহী প্রকৌশলী মালী/গার্ডেনার মর্জিনা বেগমকে দায়িত্বভার প্রদান করেন। কিন্তু নির্বাহী প্রকৌশলীর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিভিন্ন হুমকি ধামকির সম্মুখীন হতে হয় মর্জিনা বেগমকে। এমনকি মামলা মোকদ্দমাও পড়তে হয়েছে তাঁকে। সোমবার পহেলা এপ্রিল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পৈত্রিক সূত্রে মশিউর রহমানের চাষাবাদের জমি সহ বসতভিটা সবই আছে। কিন্তু কেন বাবার সম্পত্তি ছেড়ে সরকারি স্থাপনা দখল করে তার বসবাস করছেন? এ প্রশ্নের উত্তর জানে না কেউ? তবে নাম না বলা শর্তে স্থানীয়রা জানান, মশিউর রহমান একজন দুর্ধর্ষ টাইপের মানুষ। কি বলবো তার কথা? তার বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হবে। আমরা ঝামেলায় জড়াতে চাই না। প্রথম স্ত্রী সন্তানদের পুরান ভিটায় রেখে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত ভবনে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বসবাস করে আসছে। খোজ নিয়ে পৈত্রিক বাড়িতে গেলে মশিউর রহমানের বাবা ফজলুল হক বলেন, আমার এক ছেলে ও এক মেয়ে। আমার এতবড় বাড়ি। থাকার অভাব নেই। আমার ছেলে দ্বিতীয় বিয়ে করায় সে বাড়ি ছাড়া। আমার বাড়ির ঘরগুলো একদমে ফাঁকা পড়ে আছে। চাইলে আপনারা দেখতে পারেন। মশিউর রহমান বলেন, আমি একজন ভূমিহীন। জায়গা-জমি না থাকায় স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে এখানে থাকি সমস্যা কোথায়? আমি থাকলে ঘরটি হেফাজতে থাকবে। জানালা দরজা কিছুই ছিল না। আমি মেরামত করে বসবাস করছি। আমাকে সরানো ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে একটা পরিবার। তাছাড়া কারো কোন অভিযোগ নেই আমার বিরুদ্ধে। সে আরো বলেন, আমি যাব না। যাবোই বা কি করে? আমার সেই সামর্থ্য নেই। যদি কেউ উচ্ছেদ করতে চায়? করুক। পরেরটা পরে দেখবো। মালী/গার্ডেনার মর্জিনা বেগম বলেন, নির্বাহী স্যার আমাকে বাগানসহ পরিত্যক্ত পাকা স্থাপনা গুলো দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়েছে। মশিউর রহমান জোরপূর্বক ভবন দখল করে বসবাস করতে গিয়ে বাগানের গাছপালার অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বাঁধা নিষেধ করতে গিয়ে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়েছে। ডালিয়া পওর শাখা-১ এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাসেম আলী জানান, শুধু মশিউর রহমান নয়, এরকম অনেককে উচ্ছেদের জন্য নোটিশ দিয়েছি। নিজ ইচ্ছায় না সরলে কিভাবে সরাতে হয় তা আমার জানা আছে। সময় হলে দেখা যাবে।
বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন