বৃহস্পতিবার, ১২ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

শিক্ষার্থীদের রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

শিক্ষার্থীদের রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান
হাবিপ্রবি প্রতিনিধি :  সাম্প্রতিক সময়ে চলমান কোটা সংস্কার সংক্রান্ত বিতর্কের প্রেক্ষিতে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপির কপি জেলা প্রশাসক বরাবর হস্তান্তর করেছেন। রবিবার (১৪ জুন) দুপুর ১২ টায় দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদে এর নিকট এই স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন শিক্ষার্থীরা।  কোটা বিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থী সানজিদা পারভীন রিপা বলেন, আজ “কোটা সংস্কার আন্দোলন” এর কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সাথে মিল রেখে, আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহামান্য রাষ্ট্রপতি বরাবর দিনাজপুরের সম্মানিত জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করেছি। স্মারকলিপিটি ছিল জাতীয় সংসদে জরুরি অধিবেশন ডেকে সরকারি চাকরির সকল গ্রেডে কোটার যৌক্তিক সংস্কার করে আইন প্রণয়ন প্রসঙ্গে।
হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, সরকার চাইলে কোটা পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করতে পারবে। ছাত্রসমাজ দীর্ঘ দিন যাবৎ ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে রাজপথে ঝড়-বৃষ্টি-খরতাপকে উপেক্ষা করে, কোটা সংস্কারের দাবীতে আন্দোলন করে যাচ্ছে। অথচ সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের দাবী মেনে নেয়ার ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। আমাদের কারণে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হোক, তা আমরা চাইনা। আমরা দ্রুত পড়ার টেবিলে ফিরে যেতে চাই। ছাত্রসমাজ আশা রাখে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে জাতীয় সংসদে অধিবেশন ডেকে সরকারি চাকরিতে সকল গ্রেডে কোটার যৌক্তিক সংস্কার করতে উদ্যোগ গ্রহণ করবে। অন্যথায় আন্দোলন চলমান থাকবে।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের কোটা বিরোধী কঠোর আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালে ৯ম থেকে ১৩ তম গ্রেডে (১ম ও ২য় শ্রেণীতে) সকল ধরনের কোটা বাতিল করে একটি পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পরবর্তীতে ২০২৪ এর ৫ই জুন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পরিপত্রটি বাতিল ঘোষণা করে কোটা পুনর্বহালের রায় প্রকাশ করে হাইকোর্ট। যার প্রেক্ষিতে পুনরায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোটা পুনর্বহালের এই রায়ের বিপক্ষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আন্দোলনে নামেন। আন্দোলনের শুরুতে বিক্ষোভ মিছিল করলেও পরবর্তী আন্দোলনের অংশ হিসেবে বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।  বাংলা ব্লকেডের পর আন্দোলনের অংশ হিসাবে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্বন্বয়কবৃন্দ।
বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন