সোমবার, ১০ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

পীরগঞ্জের ক্ষুদ্র পোশাক কারখানায় ২০ টি পরিবারের ভাগ্য বদল

পীরগঞ্জের ক্ষুদ্র পোশাক কারখানায় ২০ টি পরিবারের ভাগ্য বদল

 

পীরগঞ্জ(রংপুর) প্রতিনিধিঃ
২০০৪ সালে এসএসসি পাস করে কর্মের সন্ধানে ছুটে যান ঢাকায়। সেখানে গিয়ে গার্মেন্টস চাকুরী শুরু করেন পাশাপাশি এলাকার বেকার মানুষের কর্ম নিয়ে ভাবেন। পোশাক কারখানায় কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করে নিজ এলাকায় আর এস ফ্যাশন নামের ুদ্র একটি পোশাক কারখানায় গড়ে তোলেন। সেখানে কয়েকজন পুরুষ ও নারী শ্রমিক নিয়ে পোশাক তৈরির কাজ শুরু করেন। বর্তমানে ২০ জন লোকের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে অই কারখানায়। এখানে প্রতিমাসে বাড়ছে বেকারদের কর্মসংস্থান। এলাকার শ্রমিকরা এই পোশাক তৈরির কারখানায় চাকুরী পেয়ে খুশি।
রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার চতরাহাট বন্দরে পাশে কেলু হাসপাতাল এর সামনে জিন্স প্যান্টের কারখানায় গড়ে তুলেছেন, অনন্তপুর গ্রামের মহির উদ্দিনের ছেলে মানবতার ফেরিওয়ালা আবু শাহীন মিয়া। আর এই প্যান্ট কারখানায় সব মিলিয়ে প্রায় ২০ জন্য মানুষের কর্মসংস্থান মিলেছে। সময়মতো বেতন-ভাতা পেয়ে শ্রমিকরাও খুশি। স্থানীয়রা জানান, শাহীন মিয়া প্রথমে ১০ টি মেশিন দিয়ে কাজ শুরু করে। এরপর তার কারখানায় মোট ২০ টি মেশিনে শ্রমিক কাজ করে। এলাকার বেকার অসহায় মহিলাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে তাদের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন শাহীন মিয়া। শ্রমিকরা বাড়ি খেয়েদেয়ে চাকুরী করছে। এতে করে কোম্পানি এগিয়ে যাচ্ছে এবং শ্রমিকদেরও সংসার চলছে। সরেজমিনে কারখানায় খোঁজ নিয়ে কথা হয় মহিলা শ্রমিকদের সাথে তারা জানান, এই কারখানা আমরা ঢাকা শহর মনে করি। কারন আমরা ঢাকায় গিয়ে চাকুরী করতাম পরিবার ছেড়ে, তাতে অনেক কষ্ট হতো, বর্তমানে আমরা বাড়িতে পরিবারের সাথে খেয়েদেয়ে চাকুরী করছি। সময়মতো বেতন-ভাতা পাচ্ছি। যে কারনে আমরা এই কারখানাকে দ্বিতীয় ঢাকা শহর মনে করি। আর এস ফ্যাশন এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর আবু শাহীন মিয়া আমাদের প্রতিবেদকে জানান, স্কুল লাইফ থেকেই বেকারদের কর্মসংস্থান নিয়ে চিন্তা ভাবনা করি এবং গ্রামের মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াতে চাই কিন্তু অর্থের অভাবে সম্ভব হয় না। বিগত কুড়ি বছর ঢাকার চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা চালিয়ে কিছু পয়সা জমিয়ে ১০ টি মেশিন দিয়ে জিন্স প্যান্ট এর পোশাক কারখানায় শুরু করি। মাত্র ৬ মাসে ২০ জন লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে এখানে। দিন দিন শ্রমিক এবং মেশিন বেড়েই যাবে। বর্তমানে আমার এই পোশাকের চাহিদা প্রচুর পরিমাণ রয়েছে। আশপাশের কয়েকটি জেলা এবং উপজেলায় জিন্স প্যান্ট পাইকারি বাজারে আমদানি করা হচ্ছে। দ কারিগর দিয়ে নিখুঁত ভাবে পোশাক তৈরি কাজ করা হচ্ছে। আল্লাহর উপর ভরসা করে এই পোশাক কারখানায় হাত রেখেছি, এখানে এলাকার বেকার ও কর্মহীনরা কর্ম করতে পারবে সেই ল্েয কাজ করে যাচ্ছি।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন