চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র নদে সাঁতারে গিয়ে নিখোঁজ কৃষকের লাশ উদ্ধার
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
সাঁতার দিয়ে নদী পার হওয়ার সময় কৃষক নিখোঁজ। প্রায় ৪ ঘন্টা পর লাশ উদ্ধার। পরিবারের ঈদ আনন্দ এখন কান্নায় পরিনত। কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ঈদের বাজার করার জন্য খেয়া ঘাট পর্যন্ত যেতে ব্রহ্মপুত্র নদের শাখা নদ সাঁতরে পাড় হতে গিয়ে নদে ডুবে এক কৃষক নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া যায়। পরে নিখোঁজের প্রায় ৪ ঘন্টা পর স্থানীয়রা তার লাশ উদ্ধার করে।
জানা গেছে, বুধবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের শাখাহাতী এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের শাখা নদে এঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ব্যক্তির নাম নুর ইসলাম (৫৫)। তিনি ওই ইউনিয়নের শাখাহাতী এলাকার মৃত. মোহর মিস্ত্রির ছেলে। পেশায় একজন কৃষক। তবে তিনি বসবাস করতে ওই ইউনিয়নের মানুষমারা চরে। সেখানে অন্যের জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করতেন।
স্থানীয় ও নিহত ব্যক্তির স্বজনরা বলছেন, বুধবার সকালে রমনা মডেল ইউনিয়নের জোড়গাছ বাজারে হাট করার উদ্দেশে চিলমারী ইউনিয়নের মানুষমারা চর থেকে ওই ইউনিয়নের শাখাহাতীতে খেয়া ঘাটে নৌকার জন্য যাওয়ার পথে শাখাহাতী চরের পাশে ছোট একটি শাখানদ সাঁতরে পাড় হতে গিয়ে নদে ডুবে নিখোঁজ হন নুর ইসলাম। নিখোঁজ ব্যক্তির সাথে বাবলু নামে অপর একজন ব্যক্তিও ছিলেন তবে তিনি শাখা নদের অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এরপর বাবুল মিয়ার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে আসেন উদ্ধারের জন্য। পরে প্রায় ৪ ঘন্টা চেষ্টা চালানোর পর স্থানীয়রা তার লাশ উদ্ধার করে। শাখাহাতী এলাকার মাইদুল ইসলাম জানান, সকালে ব্রহ্মপুত্রের শাখানদ সাঁতরে কিনারার কাছে গিয়ে পানিতে ডুবে যান তিনি। পরে বাবলু মিয়ার চিৎকার শুনে নৌকা নিয়ে উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে আসলে নিখোঁজ ব্যক্তির সাথে থাকা একটি ব্যাগ পাওয়া গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি, পরে বেলা ১২ টার দিকে একটু দুরে তার লাশ পাওয়া যায়। চিলমারী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। পরে শুনলাম স্থানীয়রা দীর্ঘ চেষ্টার পর নিখোঁজ নুর ইসলামের লাশ পেয়েছে। ফারার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স চিলমারীর স্টেশন ইনচার্জ ( ভারপ্রাপ্ত) মো.খবরুল ইসলাম বলেন আমি এই মাত্র আপনার কাছে শুনলাম কেউ আমাকে বলেনি।