পীরগঞ্জে আশ্রায়ন প্রকল্পে নক্সাবহির্ভূত নির্মিত ১৫টি ঘর অবশেষে ভেঙ্গে নতুন করে নির্মান করে দেয়া হচ্ছে !
পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধিঃ রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার শানেরহাট ইউনিয়নের পালানুসাহাপুর গ্রামে মুজিবর্ষ উপলে গৃহহীনদের জন্য নির্মিত ১৫ টি ঘর ভেঙ্গে নতুন করে নির্মান করে দেয়া হচ্ছে। আর এসব ঘর নির্মানের দায়িত্ব নিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী মশিউর রহমান। এর আগে ঘর নির্মানের সময় তিনি এসবের ধারে কাছেও আসেননি। সদ্য বদলী হয়ে যাওয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিরোদা রানী রায় এর প থেকে উপজেলা প্রকৌশলী মশিউর রহমান ওই ঘরগুলো নির্মান করে দিচ্ছেন। তিনি কেন এ কাজ করে দিচ্ছেন ? তা এক রহস্যজনক অধ্যায়। এদিকে কয়েকমাস পুর্বে ঘরগুলোর নির্মানকাজ সম্পন্ন হলেও এখনও স্বর্ণবালা নামের এক বিধবার ঘর এ চালা লাগানো হয়নি। যে কারনে তিনি ঘরে বাস করতে পারছেন না। স্বর্ণবালার মৃত্যুপথযাত্রী শয্যাশায়ী মা সাতোবালা(৮০)কে প্রতিবেশীর বাড়িতে রাখা হয়েছে। অথচ এসব ঘর নির্মানের জন্য বরাদ্দকৃত বিল উত্তোলন করে নেয়া হয়েছে। এলাকাবাসী জানান, শুধুমাত্র ঘরের বরাদ্দকৃত বিল উত্তোলনের উদ্দেশ্যেই যেনতেনভাবে নিম্মমানের ও কম নির্মান সামগ্রী ব্যবহার করে এসব ঘর নির্মান করা হয়। কেউ আপত্তি জানালে তাকে ধমক দিয়ে থেমে দেয়া হযেছে। গতকাল সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,উপজেলা প্রকৌশলী মশিউর রহমান স্বয়ং নতুন করে নির্মান কাজে নিয়োজিত লেবার মিস্ত্রীকে নির্দেশনা দিচ্ছেন। কসবা করিমপুরের মিস্ত্রী সরেস চন্দ্র সর্বানন্দের ছেলে জীবনের ঘরের পেছনে পুকুরের পাড়ে প্যালাসাইডিংএর বিকল্প হিসেবে পিচের ড্রাম কেটে বাশের খুঁটির সাহায্যে বেড়া দিয়ে বালু ভরাট করার পর রান্নাঘর ও বাথরুম নির্মানের কাজ শুরু করেছে। সরেজমিনে দেখা যায়,১৫ টি ঘরের মধ্যে ১১ টিতে পুর্বের নির্মিত বাথরুম ভেঙ্গে নতুন করে নির্মান করা সম্ভব হলেও ৪ টি ঘরের বাথরুম নির্মানের কোন সুযোগ নেই। সে ৪ টি ঘর হলো-বীরেনের ছেলে সুবরনের,রজনীর ছেলে বীরেনের,মৃত ধীরেনের বিধবা স্ত্রী হেমাদীনি ও সর্বানন্দের ছেলে রিপনের। একটি সুত্র জানায়,এসব বাথরুম নির্মানে নতুন করে আরও ৫ লাধিক টাকা ব্যয় হবে। উপজেলা প্রকৌশলী মশিউর রহমান বলেন- আমি আমার নিজস্ব তহবীল হতে এ টাকা ব্যয় করবো।