কলাপাড়ায় ভূমি অধিগ্রহন শাখার হয়ানির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ ।।
কলাপাড়া প্রতিনিধি।।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার বালিয়াতলী ইউনিয়নে পায়রা বন্দরের উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহনকৃত ভূমি এবং অবকাঠামোর ক্ষতিপুরন, ভূমি অধিগ্রহন শাখা ও দালালচক্রের হয়রানি বন্ধের দাবিতে দেড় হাজারেরও বেশি নারী-পুরুষ ও শিশুদের অংশগ্রহণে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার বেলা ১২টায় উপজেলার চর বালিয়াতলী বেড়িবাঁধের উপর ঘন্টা ব্যাপী বিক্ষোভ ও মানববন্ধন পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য মর্জিনা বেগম, সাবেক ইউপি সদস্য নুর মোহাম্মদ, আলহাজ¦ জালাল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক ফকর উদ্দিন, কাওসার আহমেদ ও সালাউদ্দিন সালু প্রমুখ।
ভূমি অধিগ্রহণে অতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য বাবুল হাওলাদার বলেন, তার চাষের জমি, গরু ছাগলের ঘর, রান্না ঘর অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায় উঠলেও প্রায় অর্ধশতক ধরে বসবাস করা তার মূল বসত ঘর ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামোর তালিকায় ওঠেনি। এলএ শাখার সার্ভেয়াররা অজ্ঞাত কারণে ঘর তালিকাভুক্ত করেনি। এখন দালালচক্র কমিশন দাবি করছে।
তার মতো ভূক্তভোগীরা বলেন, পায়রা বন্দরের উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য কলাপাড়ার বালিয়াতলী ইউনিয়নের চর বালিয়াতলী মৌজা থেকে ভূমি গ্রহন করছে। জেলা ভূমি অধিগ্রহন শাখা এল এ কেস নং- ১৬/২০১৭-১৮ এর মাধ্যমে এ ভূমি অধিগ্রহন করছে। সর্বশেষ ভূমি জরিপ বিএস খতিয়ানের মাধ্যমে ক্ষতিপুরনের টাকা প্রদানের কথা উল্ল্যেখ করে চিঠি প্রদান করে।
কিন্তু প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অধিগ্রহন শাখায় যোগাযোগ করলে সিএস জরিপের কাগজপত্রের চাহিদা তুলে ধরে কমিশন দাবি করছেন ভূমি অধিগ্রহন শাখার কানুনগোসহ সার্ভেয়াররা। অধিগ্রহন শাখার চিহ্নিত দালালচক্রের মাধ্যমে মামলাসহ নানা জটিলতা তৈরি করে ক্ষতিগ্রস্থদের হয়রানি করা হচ্ছে।
ইউপি সদস্য মর্জিনা বেগম বলেন, ভূমি অধিগ্রহনের ফলে অনেক পরিবার তাদের পূর্ব পুরষদের কবর পৈত্রিক ভিটা-বাড়ি হারাবে। কৃষি নির্ভর দরিদ্র এ এলাকার মানুষ তাদের কর্ম হারিয়ে উদ্বাস্ত হবে। এনিয়ে মনে কস্ট থাকলেও দেশের উন্নয়নের জন্য তারা জমি দিতে রাজি। তবে জমি ও অবকাঠামোর ক্ষতিপুরুন ছাড়া তারা জমি দিবেন না।
প্রভাষক ফকর উদ্দিন বলেন, ভূমি অধিগ্রহন শাখার চিহ্নিত দালালদের একের পর এক মামলায় ক্ষতিগ্রস্থতরা আরপ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এ ব্যাপারে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেন ক্ষতিগ্রস্তরা ।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী এল এ শাখার তহফিলদার ও সার্ভেয়ারদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি