আদমদীঘিতে দাঁড়ানো ট্রাকে ফার্নিচারবাহী ট্রাকের ধাক্কা, ৪ জন নিহত
এএফএম মমতাজুর রহমান
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি:
বগুড়ার আদমদীঘিতে মহাসড়কে নষ্ট হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা সিমেন্টভর্তি একটি ট্রাকের পেছনে ফার্নিচারবাহী আরেকটি ট্রাকের ধাক্কায় তিনজন নিহত হয়েছেন। একজনের অবস্থা গুরুতর। শুক্রবার (১৪ জুলাই) দিবাগত রাত ৩টার দিকে বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কে আদমদীঘি উপজেলার মুরইল বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় অন্য দুজনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, বগুড়া থেকে নওগাঁ গামী সিমেন্টবাহী একটি ট্রাক আদমদীঘির মুরইল বাজারের পূর্ব দিকে ব্রিজের কাছে পৌঁছানোর পর বিকল হয়। ট্রাকটি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার জন্য ওই ট্রাকের চালক ট্রাকমালিক মোস্তাক আলীকে জানান, ওই রাতেই তিনি (মোস্তাক) আরেকটি ট্রাক নিয়ে সেখানে যান। সেখানে পৌঁছে সিমেন্টভর্তি ট্রাকের নিচে রশি বাঁধানোর কাজ করছিলেন মোস্তাক এবং তার এক সহযোগী।
এ সময় পেছন থেকে নওগাঁগামী আরেকটি ফার্নিচারবাহী ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ওই বিকল ট্রাকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ফার্নিচারবাহী ট্রাকের চালক দাদন মিয়া ও তার সহকারী রকিবুল নিহত হন। আর এ সময় ট্রাকের নিচে বসে রশি লাগানোর সময় ধাক্কার কারণে চাকা গড়িয়ে মোস্তাকের শরীরের ওপর দিয়ে যাওয়ায় তিনি গুরুতর আহত হন।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন দ্রুত সেখানে ছুটে যান। তারা আহত মোস্তাক ও পেছন থেকে ধাক্কা দেওয়া ট্রাকের আরেক সহকারী সাইফুল ইসলামকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। কিছুক্ষণ পর মোস্তাক সেখানে মারা যান। সাইফুল আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদিকে সিমেন্টভর্তি বিকল ট্রাকের চালকের স্থানে স্টিয়ারিং ধরে বসে থাকা একজন এবং নিহত মোস্তাকের সঙ্গে ট্রাকের নিচে থাকা আরেকজনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন থানার এসআই আলমগীর হোসেন।
এ ঘটনায় নিহত চারজন হলেন- ট্রাকচালক ঢাকার কামরাঙ্গীর চর গফুর প্রামাণিকের ছেলে দাদন মিয়া (৪০), একই এলাকার জামাল উদ্দীনের ছেলে ও চালকের সহকারী সাইফুল ইসলাম (২৩), নওগাঁর সাপাহারের আমজাদ হোসেনের ছেলে রকিবুল ইসলাম (৪০) এবং ট্রাক মালিক নওগাঁর দয়ালের মোড়ের ওমর আলীর ছেলে মোস্তাক (৪৫)।
আদমদীঘি থানার ওসি রেজাউল করিম রেজা জানান, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকের পেছনে আরেক ট্রাকের ধাক্কায় ট্রাক দুটি দুমড়েমুচড়ে গেছে।