সুবর্ণচরে বনবিভাগের উদ্যোগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ৫ হাজার চারা বিতরণ
মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন,নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব মোকাবেলার দেশব্যাপী ব্যাপক বনায়নের লক্ষে উপজেলা বন বিভাগ নোয়াখালীর অধিনে সুবর্ণচর উপজেলা বনবিভাগের উদ্যোগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ৫ হাজার চারা বিতরণ করা হয়েছে। বন বিভাগের আওতায় টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের অর্থায়নে সুবর্ণচর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং আশ্রয়ণ প্রকল্পে এসব গাছের বিনামূল্যেতে বিতরণ করে কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (২ আগস্ট) সকালে সুবর্ণচর উপজেলার অন্তর্গত দক্ষিণ চর জব্বর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১০০০ টি, শহীদ জয়নাল আবেদীন মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৬৭ টি এবং চর মহিউদ্দিন আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৩০০০ টি মোট ৪১৬৭ টি ফলদ, বনজ, ভেষজ ও শোভাবর্ধক চারা বিনামূল্যে বিতরণ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন, চৈতী সর্ববিদ্যা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সুবর্ণচর, নোয়াখালী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বন কর্মকর্তা, মো: মোশাররফ হোসেন, শহীদ জয়নাল আবেদীন মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক, কাজী নজরুল ইসলাম,দক্ষিণ চর জব্বর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিনসহ অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার চৈতী সর্ববিদ্যা জানান, শিক্ষার্থীদের গাছের চারা রোপণেই সীমাবদ্ধ না থেকে গাছ পরিচর্যা করার ব্যাপারে বিশেষ ভাবে আহ্বান জানিয়েছেন।
উপজেলা বন কর্মকর্তা মোঃ মোশাররফ জানান, পৃথিবীতে বৈশ্বিক উষ্ণায়নসহ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুকি মোকাবিলায় বৃক্ষরোপণের কোন বিকল্প নেই।
কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পরিবেশ বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি গাছ লাগাতে উৎসাহ জোগাতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পড়ালেখার পাশাপাশি শিশুরা যাতে গাছের পরিচর্যা ও বৃক্ষরোপণ করতে আগ্রহী হয় এজন্য তাদের প্রত্যেককে ২টি করে মোট ১১৬৭ টি চারা বিনামূল্যে প্রদান করা হয়।
তিনি আরো জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এখন দৃশ্যমান। জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশ অনেক হুমকির মধ্যে রয়েছে, ইতোমধ্যে বাংলাদেশের মানুষ তা উপলব্ধি সম্ভব হয়েছে ঘূর্ণিঝড়,বন্যা,সিডর,আইলা,নার্গিস সহ ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক দুর্যোগকালে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি বাস্তব চিত্র অনুধাবন করেছে জাতি। তীব্র তাপদাহ, অনা বৃষ্টি, ঋতু পরিবর্তন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, নদী ভাঙ্গন, আকস্মিক বন্যা, উত্তরবঙ্গে খরা বৃদ্ধি, দক্ষিণবঙ্গের পানিতে লবণাক্ততার পরিমাণ বেড়ে যাওয়া এর মধ্যে অন্যতম। ধারণা করা হচ্ছে, ২০৩০ সালে প্রতি ৫ জনের একজন বাস্তুচ্যুত হবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে। কাজেই জলবায়ু পরিবর্তন রোধে শিক্ষার্থীসহ সকলকে অধিক হারে বৃক্ষরোপণ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বন বিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাঝে ৫ হাজার বিভিন্ন জাতের ফলজ, বনজ ও ওষুধি গাছের চারা বিতরণ করা হয়। চারা পেয়ে খুঁশি কোমলমতি শিশুরা।