মঙ্গলবার, ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

আদমদীঘিতে সান্তাহার-নওগাঁ সড়কের বেহাল দশা

আদমদীঘিতে সান্তাহার-নওগাঁ সড়কের বেহাল দশা

 

এএফএম মমতাজুর রহমান
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ
বৃটিশ আমলে নির্মিত বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার প্রথম পাকা সড়ক সান্তাহার-নওগাঁ মেইন রোড। অতিগুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক দিয়ে পুরো নওগাঁ,বগুড়া, নাটোর, ও জয়পুরহাট জেলার লোকজন সান্তাহার জংশন স্টেশনে যাতায়াত করে থাকেন। চলাচল করে পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী ছোট বড় অসংখ্য যানবাহন। কিন্তু বৃষ্টি হোক বা নাই হোক, প্রায় বছরজুড়েই ওই সড়কের কিছু অংশে পানি জমে থাকে। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় ভোগান্তি বাড়ছে জনসাধারণের। অথচ এই পথ ধরে প্রতিদিনই ছোট-বড় হাজারো যানবহন চলাচল করে। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি হলো ‘সান্তাহার-নওগাঁর প্রধান সড়ক’। আর পানি জমে থাকার স্থানটি হলো- উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের পূর্বাশা সিনেমা হল সংলগ্ন এলাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সান্তাহার পৌর শহরের ঘোড়াঘাট ব্রিজ থেকে পশ্চিম ঢাকা রোড পর্যন্ত দুই কিলোমিটারজুড়ে পানি নিষ্কাশনের কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কের উভয় পাশে পানি জমে থাকে। তবে এরমধ্যে উপজেলার সান্তাহার পূর্বাশা সিনেমা হলের সামনের অংশে প্রায় সাড়া বছরই পানি জমে থাকতে দেখা যায়। সেখানে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। ইলিয়াছ মুন্সি নামের একটি ওয়ার্কসপ দোকানের মিস্ত্রি জানান, কয়েক বছর আগেও বৃষ্টি হলে দু’-একদিনের জন্য সেখানে পানি আটকে থাকতো। এরপর নেমে গিয়ে স্বাভাবিক হতো। গত দুই-তিন বছর আগে সড়কের উত্তরপাশ দিয়ে ড্রেন নির্মাণের জন্য খোঁড়াখুঁড়ি (গর্ত) করে রাখার কারণে সেখানে সারা বছরজুড়েই পানি জমে থাকছে। গর্ত ভরাট করা বা ড্রেন নির্মাণ কিছুই হয়নি। শুধু দুর্ভোগ বেড়েছে। এখন পানি অতিক্রম করে অনেক খদ্দের তাদের দোকানে আসতে চায় না। দন্ত চিকিৎসক আমিনুল ইসলাম জানান, চেম্বারের সামনেও পানি জমে থাকে। পানি জমার কারণে অল্পদিনের মধ্যেই পাকাসড়কের কার্পেটিং উঠে যায়। মাঝে মধ্যে সড়ক বিভাগের লোকজন কিছু ইট এনে সড়কে চলাচল উপযোগী করে চলে যান। কিন্তু এতে কোনো লাভ হয় না। সংস্কারহীন সড়কের পানিজমে থাকা অংশের ডানপার্শ্বে কয়েকটি শো-রুম, একটি সিনেমা হল, একটি বিদ্যালয় ও বামে টিএনটি অফিসসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে। দ্রুত সড়কটি সংস্কার হওয়া প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। শিক লেমন মাহাবুব জানান, শিার্থীরা স্কুলে যাওয়া-আসার সময় সড়কে জমে থাকা পানি গায়ে ছিটে পড়ে জামা-কাপড় নোংরা হয়ে যায়। এসব দুর্ভোগ দেখার কেউ নেই।
সান্তাহার পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল ইসলাম জানান, সড়কের দু’পাশে পানি নিষ্কাশনের ড্রেন নির্মাণ করার জন্য চাহিদা পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু কোনো ধরনের রেসপন্স পাওয়া যায়নি।
সান্তাহার পৌরসভার মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভ’ট্ট জানান, দুই বছর আগে নগর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আমরা সড়কের পাশ দিয়ে ড্রেন নির্মাণ করতে চেয়ে বগুড়া সড়ক বিভাগ বরাবর আবেদন করেছিলাম। কিন্তু তারা সড়কটি প্রশস্তকরণের কাজ করবে মর্মে আমাদের অনুমোদন দেননি। তারপর থেকে সড়কের ওপর দিয়েই বৃষ্টির পানি গড়িয়ে যাচ্ছে। আবার কোথাও কোথাও এসব পানি আটকে থেকে কার্পেটিং উঠে গর্ত সৃষ্টি হচ্ছে।
বগুড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চেয়ে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন