আদমদীঘিতে মোবাইল চুরির অপবাদ পেয়ে অভিমানে ‘যুবকের আত্মহত্যা’
এএফএম মমতাজুর রহমান
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ
বগুড়ার আদমদীঘিতে প্রতিবেশির মোবাইল ফোন চুরির অপবাদ পেয়ে অভিমান করে ফিরোজ সরদার (২২) নামে যুবক আত্মহত্যা করেছেন। ফিরোজ উপজেলার কন্দুগ্রাম ইউপির কাথলা গ্রামের বাচ্চু সরদারের ছেলে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ওই যুবক নিজ শয়নঘরের তীরের সাথে গলায় রশি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।
নিহত ফিরোজ সরদারের চাচাতো ভাই হারুন-অর রশিদ জানান, শুক্রবার জুম্মার নামাজের জন্য মসজিদে যান ফিরোজের প্রতিবেশি চাচাতো ভাই বায়োজিদ হোসেন। নামাজ শেষে বাড়িতে ফিরে দেখেন তার স্মার্টফোনটি চুরি হয়েছে। তারা চুরির ঘটনায় ফিরোজকে সন্দেহ করে তার বাবা-মাকে বিষয়টি জানান। এরপর ওইদিন রাত ১০টায় ফিরোজের বাড়ির উঠানে ফিরোজের পরিবার ও বায়োজিদের পরিবারসহ বেশ কয়েকজন প্রতিবেশির উপস্থিতিতে একটি বৈঠক বসে। বৈঠকে ফিরোজের মা ফেরদৌসি বেগম তাকে (ফিরোজকে) সকলের সামনে চড় থাপ্পর মেরে শাসন করেন। সেই সাথে ওই বৈঠকে চুরি যাওয়া মোবাইল ফোনটি ফিরোজকে ফিরিয়ে দিতে বলা হয়। এরপর রাতে জানালা দিয়ে ফোনটি ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পরেরদিন সকালে ফিরোজ নিজ শয়নঘরে গলায় রশি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলতে থাকে। তার মা সাকালের নাস্তা খেতে ডাকাডাকির একপর্যায়ে জানালা দিয়ে তার ঝুঁলন্ত মরদেহ দেখতে পান।
আদমদীঘি থানার ওসি রেজাউল করিম রেজা জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। তবে আত্মহত্যার মূল কারন উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।