১২ ডিসেম্বর বগুড়ার আদমদীঘি হানাদার মুক্ত দিবস
এএফএম মমতাজুর রহমান
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ
আজ ১২ ডিসেম্বর বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা হানাদার মুক্ত দিবস। এ দিনটিকে ঘিরে বিভিন্ন রাজনৈতিক, শিা প্রতিষ্ঠান ও কাব সংগঠনের প থেকে বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নেওয়া হয়। আদমদীঘির সান্তাহার জংশন শহর ছিল অবাঙ্গালী (বিহারী) অধ্যুষিত রেলওয়ে জংশন শহর। দেশের বৃহৎ অবাঙ্গালী (বিহারী) অধ্যুষিত শহর হওয়ায় এখানে পাকহানাদার বাহিনীরা মূলঘাটি স্থাপন করে। এ শহর থেকে পাক সেনারা নিয়ন্ত্রণ করতো গোটা উত্তরাঞ্চল। মহান মুক্তিযুদ্ধে দীর্ঘ ৯ মাস মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা আক্রমনে ত বিত পাক হানাদার বাহিনী পালিয়ে যাওয়ায় দেশ স্বাধীনের মাত্র ৪ দিন আগে ১৯৭১ সালে এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিজয়ের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে এই আদমদীঘিকে শক্রু মুক্ত করেন। আদমদীঘি উপজেলা ছিল পাক হানাদারের শক্ত ঘাঁটি। পাক সেনা, মিলিশিয়া বাহিনী এবং এ দেশীয় দোসর রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা মিলিত ভাবে মার্চ মাসের শুরু থেকেই গ্রাম থেকে গ্রামান্তর অগ্নিসংযোগ, লুটপাট সহ নির্বিচার হত্যাকান্ড চালিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই কমান্ডার ফললুল হক, এল কে আবুল, মুনছুর রহমান, আজিজার রহমান, নান্টু, নজরুল ইসলাম, সেনা সদস্য আমজাদ হোসেন, আব্দুল হাকিম সহ অন্যান্যরা মুক্তি যোদ্ধাদের নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন রাস্তায় খন্ড খন্ড যুদ্ধ চালান। গেরিলা হামলায় পাক সেনা ও রাজাকারাও তাটাস্থ হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে নওগাঁর রানীনগর থানায় আক্রমন করে বেশ কিছূ সংখ্যক গোলা বারুদ করাত্ব করে বীর মুক্তিযোদ্ধারা। পাক হানাদারের সাথে কুসুম্বী,রেল ষ্ট্রেশন সহ কয়েকটি গুরুত্ব পূর্ণ স্থানে দফায় দফায় সম্মূখ যুদ্ধ ও বাঁধে। এতে বেশ কিছূ সেনা নিহত হয়। ঐতিহাসিক রক্তদহ বিল ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নিরাপদ স্থান। মুক্তিযোদ্ধারা গেরিলা আক্রমন শেষে ঐ বিল পেরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেত। মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমনে প্তি হয়ে পাক বাহিনীরা খুজতে থাকে মুক্তিযোদ্ধাদের। এক পর্যায়ে জসিম উদ্দীন নামের এক রাজাকার খবর দিলে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল, আলতাফ হোসেন বিশ্রাম নেয়ার সময় ছোট আখিড়া গ্রামের নিকট জমির আইল থেকে তাদের ধরে নিয়ে যায় পাক হানাদার বাহীনি। এর পর চাঁপাপুর এলাকার মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারুল হক টুলু ও আব্দুল ছাত্তারকে ধরে নিয়ে আসা হয় থানায়। হানাদার বাহিনী এই চার বীর মুক্তিযোদ্ধাকে আটক করে প্রকাশ্যে চালায় নির্মন নির্যাতন। এর পর দেশ স্বাধীনের ৬ দিন পূর্বে আদমদীঘির মহাশ্বশ্মান ঘাটিতে দিনের বেলায় প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয় তাদের। এই মহাশ্বশ্মান ঘাটিতে অবস্থিত বদ্ধ ভূমিটি আজও সংস্কার কিংবা উন্নয়ন হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার এল,কে আবুল হোসনে, ফজলুল হক, আজজিার রহমান নান্টু, মজের, হাকমি, মুনছুর রহমান, নাজরি হোসেন, আব্বাস আলীসহ অন্যান্য যুদ্ধকালীন কমান্ডারদের নেতৃত্বে মুক্তেিযাদ্ধারা পাক হানাদারদরে সাথে আদমদীঘির কুসুম্বী,রেলষ্টেশন,নশরতপুর,মথুরাপুর গাদোঘাট রেলওয়ে ব্রীজ, সান্তাহার রেলওয়ে জংশন শহর রানীনগনসহ গুরুত্বর্পূন স্থানে গেরিলা ও সম্মুখ যুদ্ধে লপ্তি হয়। এতে বশে কছিু পাকসেনা ও রাজাকার নিহত হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের চারিদিকের আক্রমনে পাক হানাদার বাহিনী বির্পয়স্ত হয়ে ১৯৭১ সালরে ১২ ডসিম্বের সান্তাহার রেলওয়ে জংশন শহরে পালিয়ে একত্রতি হয়। অবশেেষ ওইদনি দুপুরে আদমদীঘি থানা সদরে বিজয়ের পতাকা উড়িয়ে থানা সদরকে হানাদার মুক্ত ঘোষনা করনে বীর মুক্তেিযাদ্ধারা। এর দুইদনি পর ১৪ ডিসেম্বর সান্তাহারে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমন তীব্রতার কারনে সান্তাহার রেলওয়ে জংশন শহর থেকে পাক-হানাদাররা নওগাঁ অভমিুখে পালেিয় যাওয়ায় সান্তাহার জংশন শহর মুক্তর মধ্যদেিয় সমগ্র আদমদীঘি থানা হানাদারমুক্ত হয়। র্দীঘ ৯ মাস মহান মুক্তযিুদ্ধে এ উপজলোয় ২৫জন বীর মুক্তেিযাদ্ধা শহীদ হন।