বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কর্মব্যস্ত  জলঢাকার কামার শিল্পীরা 

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কর্মব্যস্ত  জলঢাকার কামার শিল্পীরা 
জলঢাকা(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে কর্মব্যস্ত সময় পার করছেন জলঢাকার কামার শিল্পীরা। যতই ঈদের দিন ঘনিয়ে আসছে ততই ক্রেতা সাধারণ এর ভীর বাড়ছে কামারদের কাছে। বিগত বছরের তুলনায় ভালোই বিক্রি হচ্ছে পশু জবাই’র দা,ছুরি ও ছাপাতি ইত্যাদি। আর মাত্র কয়েকটি দিন বাকী। চলতি জুন মাসের ১৭ তারিখ মুসলিম উম্মাহ’র প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা।এই ঈদকে ঘিরে মানুষের ভীড়ে আর হাতুড়ি, ছেনি ও লোহার টুংটাং শব্দে সরগরম হয়ে উঠেছে নীলফামারীর  জলঢাকা  উপজেলার পৌরসভা  সহ বিভিন্ন হাটবাজার এর কামার শিল্পী।  কোরবানির পশু জবাই এর সর্ঞ্জাম তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামার শিল্পীরা। তাদের ধম ফেলার ফুরসৎ নেই বললেই চলে। গতকাল  সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে ও জানাযায়, অন্যান্য বছর গুলোর মতো এই ঈদে আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টি লাভে জামাতের সহিত নামাজ আদায় করার পাশা-পাশি নামাজ শেষে বাড়ীতে ফিরে তৌফিক অনুযায়ী পশু জবাই করে আত্বীয়- স্বজন সহ হত-দরিদ্র মানুষের মাঝে মাংস বিতরণ করবেন জলঢাকা  উপজেলার বিত্তশালী ও মধ্যবিত্ত ধর্মপ্রাণ মুসলমান। আর এই পশু জবাই এর সর্ঞ্জাম অর্থাৎ নতুন দা,ছুরি ও চাপাতি ইত্যাদি ক্রয় করার পাশা-পাশি পুরাতন সরঞ্জাম সান(দাড়) দিতে উপজেলা পৌর বাজার সহ ছোট-বড় বিভিন্ন হাট-বাজার এর কামার পল্লীতে ভীড় করছেন মানুষ-জন। এতে করে কর্মব্যস্ত সময় পার করছেন কামার শিল্পীরা। নৈপুণ্য হাতের কারিসমায় ক্রেতা সাধারণ এর অর্ডার অনুযায়ী কোরবানির সরঞ্জাম  তৈরী করে বিক্রি করছেন তারা।যেন ধম ফেলার ফুরসৎ নেই তাদের। তাইতো মালামাল বিক্রির জন্য আলাদা লোকও রেখেছেন কামার শিল্পীরা। এ ব্যাপারে কামার শিল্পীর কাছে  আসা ক্রেতা রহিমুদ্দিন,বলাই মামুদ,আজিজুল ইসলাম  সহ একাধিক ক্রেতা একান্ত আলাপকালে বলেন,কোরবানি দেব তাই কিছু নতুন দা, ছুরি ও চাপাতি ক্রয় করার পাশা-পাশি পুরাতন দা,ছুরি সান দিয়ে নিয়ে নিলাম। সহনশীল মূল্যে কামার শিল্পীরা এই সকল সরঞ্জাম  বিক্রি করছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তারা আরো বলেন, আল্লাহর হুকুমে তৌফিক অনুযায়ী পশু কোরবানি করব। কবুলের মালিক আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন। এ বিষয়ে একান্ত আলাপকালে কামার শিল্পী রফিকুল ইসলাম বলেন, সারা বছরই কাজকর্ম  কমবেশি কিছুটা থাকে। কোরবানির ঈদ আসায় ব্যস্ততা বহুগুণ বেড়ে গেছে। আগে সকাল ৯/১০ টার সময় দোকান খোলা হতো। সন্ধ্যা গনিয়ে আসলেই বন্ধ থাকতো। আর এখন সকাল ৮ টা থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত কর্মযজ্ঞ চলছে। ঈদের আগের রাতেও কাজ করতে হয়। তাই চলমান সময় টুকুতে ভালো ইনকাম সবারই হয়। নিজে কাজ করে ধম ফেলার ফুরসৎ পাচ্ছিনা। যার ফলশ্রুতিতে মালামাল বিক্রির জন্য আলাদা লোকও রেখেছি। এক প্রশ্নের জবাবে তারা আরো বলেন, আগে প্রতি বস্তা কয়লা দুইশত- আড়াইশত টাকায় ক্রয় করা যেত। অথচ বর্তমানে এক বস্তা কয়লা কিনতে এক থেকে দেড় হাজার  টাকা গুনতে হচ্ছে। তবে ঈদ মৌসুমকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত মজুরি নেওয়া হচ্ছেনা। বেচা-বিক্রি ভালোই হচ্ছে।
বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন