শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

স্ত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্কে ল্প্তি থাকায় খুন হয় লেবু বাগান শ্রমিক চম্পা লাল মুন্ডা, খুনি গ্রেপ্তার

স্ত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্কে ল্প্তি থাকায় খুন হয় লেবু বাগান শ্রমিক চম্পা লাল মুন্ডা, খুনি গ্রেপ্তার
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে লেবু বাগান শ্রমিক চাম্পা লাল মুন্ডা হত্যার মূল আসামি বিশ্বনাথ তাঁতীকে গ্রেপ্তার করেছে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত বিশ^নাথ তাঁতীকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানায়, তার স্ত্রীর সাথে একই বিছানায় শুয়ে থাকতে দেখে চাম্পা লাল মুন্ডাকে সে লাঠি দিয়ে মাথায় ও পিঠে আঘাত করে হত্যা করেছে।
সোমবার (১৫ মে) শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে চাম্পালাল মুন্ডা হত্যার মূল আসামি বিশ্বনাথ তাঁতীকে (৪৫) কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী পাত্রখলা চা বাগান থেকে গ্রেপ্তার করেন।
শ্রীমঙ্গল থানা সুত্রে জানা যায়, গত ১৪ মে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শ্রীমঙ্গল উপজেলার ডলুছড়া এলাকার লেবু বাগান শ্রমিক চাম্পা লাল মুন্ডা (৩৭) কে বাগানের রাস্তা থেকে রক্তাক্ত ও গুরুতর আহত অবস্থায় বাগান মালিক জনক দেববর্মা উদ্ধার করে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্্ের নিয়ে যান।  পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৮টা ১০মিনিটে মারা যায় চম্পা লাল মুন্ডা। এঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্্ের গিয়ে চম্পা লাল মুন্ডার লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে পাঠায়।
নিহত চম্পা লাল মুন্ডা কমলগঞ্জ উপজেলার পদ্ধছড়া চা বাগানের রামজি মুন্ডার পুত্র। সে শ্রীমঙ্গল ডলুছড়া এলাকার জনক দেববর্মার লেবু বাগানে শ্রমিকের কাজ করে আসছিল। নিহত চম্পা লাল মুন্ডার মৃত্যু রহস্য উদঘাটন করতে শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম মাঠে নামে। ঘটনা তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশের চোখে পড়ে একই লেবু বাগানের শ্রমিক বিশ্বনাথ তাঁতীর বাড়ির উঠানে ও রাস্থায় রক্তের দাগ লেগে আছে। রক্তের দাগ দেখে চম্পা লাল মুন্ডার খুনি হিসেবে বিশ্বনাথ তাতীঁকে সন্দেহ ঘাতক হিসেবে সন্দেহ করেন তদন্তকারী দল। তবে বিশ^নাথ তাঁতীকে তার বাড়িতে খোঁজে পায়নি পুলিশ। এক পর্যায়ে বিশ^নাথ তাঁতীকে কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী পার্থখলা চা বাগান থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর বিশ্বনাথের কাছ থেকে নিহত চম্পা লাল মুন্ডর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বিশ্বনাথ তাঁতী জানায়,  চাম্পা লাল মুন্ডাকে তার স্ত্রীর বিছানায় শুয়ে থাকতে দেখে লাঠি দিয়ে কপালে ও পিঠে আঘাত করে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানান, সোমবার সকালে গ্রেপ্তারকৃত বিশ্বনাথ তাঁতীকে মৌলভীবাজার জেলা বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন