পাঁচবিবিতে চৌধুরী খায়রুজ্জামানের বাসায় মিনি চিড়িয়াখানা
পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি: জয়পুরহাটের পাঁচবিবি পৌরসভার মাতাইশ মঞ্জিল মহল্লার দাদা মরহুম আলহাজ্ব বয়েন উদ্দিন চৌধুরী ও পিতা মরহুম মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরীর পুত্র ৭ ভাই বোনের মধ্যে তিনি একমাত্র পুত্র সন্তান চৌধুরী খাইরুজ্জামান।
তার একান্তই ব্যক্তিগত উদ্যোগে তার নিজ বাসভবনটিতে তিনি দিনের পর দিন ধীরে ধীরে গড়ে তুলেছেন একটি মিনি চিড়িয়াখানা ও ডাকবাংলো। তার এই মিনি চিড়িয়াখানা ও ডাকবাংলো দেখতে ছুটে আসেন ডিসি,এসপি ইউনোসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের দর্শনার্থী।
তার এই মিনি চিড়িয়াখানাটিতে রয়েছে একুরিয়াম, মাছ চাষের একটি হাউজ, দেশি-বিদেশি হাঁস মুরগি,কবুতর,ময়না পাখিসহ নানান প্রজাতির পশু পাখি। প্রতিদিন সকাল দুপুর বিকেলে তিনি নিজ হাতে এই পশু পাখি গুলোকে খাবার দেন। নিঃসন্তান দম্পতি হওয়ায় তার জীবনের সমস্ত কিছু উপার্জন তিনি ব্যয় করেন মানব কল্যাণে ও সৌখিন এই পথে। তার স্ত্রী একজন সরকারি চাকুরিজীবী। পৈত্রিক সূত্রে রয়েছে তবে অঢেল সম্পত্তি। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার বাপ দাদার আমলের পুরনো মাটির বাড়িটি সংস্কার করে ডাকবাংলো বানাবেন। শেষ পর্যন্ত তিনি তাই করলেন। আজ শনিবার দুপুরে কয়েকজন সাংবাদিককে তিনি সানন্দে ডেকে নিয়ে গেলেন তার বাড়িতে। ঘুরে ঘুরে দেখালেন তার মিনি চিড়িয়াখানা ও প্রায় কমপ্লিট ডাকবাংলা। এ ব্যাপারে চৌধুরী খাইরুজ্জামান বলেন,দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা,আমার বাড়িটি একটি মিনি চিড়িয়াখানা বানাবো। সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। পাশাপাশি দূর-দূরান্ত থেকে আগত ভ্রমণ পিপাসুরা সরকারি ডাকবাংলোর পাশাপাশি যাতে একটি বেসরকারি ডাকবাংলাতে থাকতে পারে সেজন্য আমার মাটির বাড়িটি সংস্কার করে ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য প্রস্তুত করছি। এখানে টয়লেট বাথরুম থেকে শুরু করে সকল আধুনিক সুযোগ সুবিধায় রয়েছে। অচিরেই এটি ন্যূনতম রেন্টে চালু করা হবে।