বৃহস্পতিবার, ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

হোমনায় এক রশিতে মা ছেলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার স্বজনদের দাবি হত্যা

হোমনায় এক রশিতে মা ছেলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার স্বজনদের দাবি হত্যা

হোমনা (কুমিল্লা) সংবাদদাতা
হোমনায় এক রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় মা ও ছেলের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা হলেন মা সানজিদা আক্তার (২০) ও একমাত্র সন্তান আবদুল্লাহ (২)। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে হোমনা সদরের ফকির বাড়ির নিহত সানজিদার স্বামীর ঘর থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত সানজিদা আক্তার উপজেলার ভাষানিয়া ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের মো. রনি মিয়ার মেয়ে এবং হোমনা সদরের ফকির বাড়ির মো. বাবু মিয়ার স্ত্রী। সানজিদা আক্তারের বাবার অভিযোগ স্বামী, ননদরা ও শাশুড়ি মিলে তার মেয়েকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করেছে।
নিহতের বড় ভাই মো. শরীফ মিয়া জানান, গত তিন বছর আগে হোমনা সদরের ফকির বাড়ির বাবু মিয়ার সাথে তার বোনের বিয়ে হয়। এরপর কিছু দিন তাদের সংসার ভাল চললেও তাদের একমাত্র ছেলে আবদুল্লাহর জন্মের পরই বোন জামাই বাবু অন্য মেয়ের পালায় পড়ে আমার বোনের সাথে খারাপ আচরণ শুরু করে। শুধু বোন জামাই না, বোনের শাশুড়ী, ননদ লাকী, আকলিমা ও পাখি মিলে কারণে অকারণে তার বোনকে মারধর করতো। কথায় কথায় বলতো বাপের বাড়ির থেকে তুই কিছু আনতে পারছ না। তুই মর; তুই মরলে, তরতে ভাল বিয়া করাইতে পারমু। প্রায় সময়ই তারা মারধর করে আমার বোনকে আহত করে আমাদের বাড়িতে পাঠাইয়া দিত। এতে অতিষ্ঠ হয়ে আমার বাবা বলতো থাক, আর আমরা সানজিদাকে হের (বাবুর) ভাত খাওয়াইতামনা। তারপর আমাদের ওয়ার্ড মেম্বার জালাল উদ্দিনের কথায় আমরা আবার সানজিদাকে স্বামীর বাড়িতে দেই। শরীফ মিয়া আরো জানান, এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ভাষানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার জালাল উদ্দিন বলেন, মেয়েটির (সানজিদার) স্বামী, শাশুড়ি ও ননদরা দীর্ঘ দিন ধরে নানাভাবে অত্যাচার করে আসছে। এ নিয়ে প্রায় ৫/৬ বার শালিস বৈঠকও হয়। সর্বশেষ বৈঠকে আমি ছিলাম, ওই বৈঠকে রনি মিয়া মেয়েকে শশুড় বাড়িতে দিতে রাজি ছিল না। একটা ছেলে হইছে, এখন বিয়েটা ভেঙ্গে গেলে ছেলেটা এতিম হবে। এই চিন্তা করে আমরা স্থানীয়রা সবাই বুঝিয়ে মেয়েটাকে স্বামীর বাড়িতে দিয়ে ছিলাম।
হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন,ঘরের দরজা ভেঙ্গে একই রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় মা এবং ছেলের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট এলেই জানা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা। এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নিহত সানজিদার স্বামী ও আবদুল্লাহর বাবা বাবু মিয়াকে বাড়িতে না পাওয়া তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন