শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

সাংবাদিক পরিচয় দিতে প্রেস কাউন্সিলের সনদ লাগবে : বিচারপতি নাসিম

সাংবাদিক পরিচয় দিতে প্রেস কাউন্সিলের সনদ লাগবে : বিচারপতি নাসিম

মুক্তিনিউজ২৪.কম ডেস্কঃ

সাংবাদিক পরিচয় দিতে হলে প্রেস কাউন্সিলের সনদ লাগবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম।

 

 

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) গাজীপুর সার্কিট হাউস মিলনায়তনে প্রেস কাউন্সিল অ্যাক্ট ১৯৭৪ ও প্রেস কাউন্সিল প্রণীত সাংবাদিকদের জন্য আচরণবিধি প্রতিপালন শীর্ষক সেমিনার ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

 

 

বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম বলেন, একজন সাংবাদিককে অবশ্যই গ্র্যাজুয়েট হতে হবে। তারপর তিনি প্রেস কাউন্সিলে আবেদন করবেন। আমরা যাচাই-বাছাই করে তাকে সনদ দেব। যদি কারও গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি না থাকে, তাহলে তাকে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা সনদ দাখিল করতে হবে। নতুন নীতিমালায় এ রমকই বিধান রাখা হয়েছে। এটি এখন সংসদীয় কমিটিতে আছে।

 

 

প্রস্তাবিত আইন প্রণীত হলে গ্র্যাজুয়েশন ছাড়া নতুন কোনো ব্যক্তি সাংবাদিকতায় আসবে না জানিয়ে নাসিম বলেন, এখন যারা সাংবাদিকতায় আছেন তাদের মধ্যে পাঁচ বছরের কম অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কোন সাংবাদিক থাকবেন না। সাংবাদিক পরিচয় দিতে হলে প্রেস কাউন্সিলের সনদ লাগবে। ফলে আশা করা যায়, সাংবাদিকতা পেশাগত মান উন্নয়ন হবে।

 

 

তিনি আরও বলেন, এই নীতিমালা করার পর নিজ নিজ জেলাগুলোতে পত্রিকায় কর্মরত সাংবাদিকদের প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে আমাদের কাছে পাঠানোর জন্য সব জেলা প্রশাসককে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে এক বছরে ২২টি জেলা থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য পেয়েছি। এসব তথ্য দিয়ে আমরা ডেটাবেইস তৈরি করছি। আশা করছি, অন্য জেলাগুলো থেকেও দ্রুত তথ্য পাওয়া যাবে। ডেটাবেইস তৈরি করার পর প্রত্যেকের ব্যক্তিগত তথ্য আমরা সন্নিবেশিত করব।

 

 

জামালপুরের সাংবাদিক নাদিম হত্যা নিয়ে মো. নিজামুল হক নাসিম বলেন, পত্রপত্রিকায় দেখেছি জামালপুরের নাদিম খুন হয়েছেন। বিষয়টি আমাকে ব্যথিত করেছে। আমি চাইব যে দোষী তার যেন দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক বিচার হয়, সেটি আমি চাইব।

 

 

তিনি বলেন, সাংবাদিকদের বেতন–ভাতার ব্যাপারটি নিশ্চিত হওয়া দরকার। ইলেকট্রনিক কিংবা প্রিন্ট মিডিয়ায়। মালিকদের উচিত ওয়েজ বোর্ড মেনে নিয়ে বেতন ভাতা প্রদান করা।

 

 

সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও সাগর–রুনি হত্যার বিচারের বিষয়ে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে কিছু করতে পারলে খুবই ভালো হতো। বিশেষ করে সেদিন নাদিম চলে গেল, বেশ কিছু বছর আগে সাগর–রুনি চলে গেছে। একটি কেস (মামলা) ৯৯ বার টাইম (সময়) পৌঁছানো হবে, তদন্ত শেষ হবে না-এটি দেখতেও খারাপ লাগে, শুনতেও খারাপ লাগে।’

 

 

বিচারপতি নাসিম বলেন, আইনে আছে হত্যা মামলায় ১২০ দিনের মধ্যে তদন্তকাজ শেষ করতে হবে। ১২০ দিনে বড়জোর চার থেকে পাঁচটা তারিখ পড়তে পারে। এখানে ৯৯টি তারিখ পড়ে গেছে, এখনো তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ-তারা তদন্ত শেষ করতে পারেনি, ফলে বিচার শুরু হয়নি! এটাকে কি বলব, শুধু দুর্ভাগ্যই বলব এর বেশি কিছু আমার বলার নেই।’ পরে তিনি বলেন, ‘আমি আশা করব, ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে। সাগর–রুনির মামলার মতো দ্বিতীয় আর কোনো মামলার ঘটনায় যেন এ রকমটি না ঘটে-এটি আমার প্রত্যাশা।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন