বুধবার, ১লা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, যার রেজি নং-৩৬)

প্রযুক্তির প্রভাবে বেকার হয়ে পড়ছে বীরগঞ্জের বেশির ভাগ শ্রমিক 

প্রযুক্তির প্রভাবে বেকার হয়ে পড়ছে বীরগঞ্জের বেশির ভাগ শ্রমিক 
মো:ফরহাদ হোসেন বীরগঞ্জ :   বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। এদেশের বেশির ভাগ মানুষ কৃষি কাজ ও চাষাবাদের সাথে সম্পর্ক রেখে জীবিকা নির্বাহ করে। অনেক পরিবারের আয়ের প্রধান উৎস কৃষি। ফলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কে কাজে লাগিয়ে দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার বেশির ভাগ মানুষ কৃষিতে ব্যাপক বিপ্লব সাধন করেছে। কৃষি কাজ, চাষাবাদ, ফসল রোপন, মাড়াইসহ যাবতীয় কাজে এখন যুক্ত হয়েছে যান্ত্রিক ব্যবহার। ফলে প্রযুক্তির প্রভাবে বেকার হয়ে পড়েছে দিনাজপুরের বীরগঞ্জের বেশির ভাগ শ্রমিক।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার মোহনপুর, পলাশবাড়ী ভোগনগর, নিজপাড়া, মরিচা, সুজালপুর, শতগ্রাম সহ বিভিন্ন ইউনিয়নে আগাম আমন ধান কাটতে শ্রমিক সংকট না থাকলেও বেশির ভাগ কৃষক হারভেষ্টার মেশিন দিয়ে আগাম আমন ধান মাড়াই করে ঘরে তুলছে।
চাষাবাদ, ফসল রোপন, মাড়াইসহ যাবতীয় কাজ ঝামেলা মুক্ত ভাবে সময় কম লাগার কারণে মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে হারভেস্টার মেশিন। ঝড়, বৃষ্টির শঙ্কায় চাষীরা দ্রুত ইরি-বোরো, আমন ধান কেটে, বস্তাবন্দি, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সহ কোন ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে না। ফলে অর্থ ও সময় দুটোই সাশ্রয় হচ্ছেন চাষীরা।
এ ব্যাপারে মোহনপুর ইউনিয়নের কৃষক আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি এইবার আগাম ২ একর আগাম আমন ধান চাষ করেছি ধান মাড়াইয়ে আমি হারভেষ্টার মেশিন দিয়ে সব ধান কেটে ঘরে তুলছি কারণ দিনমজুর কৃষি শ্রমিকরা ১ একর ধান কেটে দিতে ১০ হাজার টাকা দিতে হয় এবং এই ধান মাড়াই,বস্তাবন্দি, পরিষ্কার সহ অনেক ঝামেলা কিন্তু হারভেষ্টার মেশিনে ১ একর ধান মাড়াইয়ে খরচ হচ্ছে ৬ হাজার টা বস্তাবন্দি সহ কম সময়ে ঝামেলা ছাড়া ধান মাড়াই করতে পারছি এতে আমার সময় ও টাকা বেঁচে যাচ্ছে।
অপরদিকে কৃষি শ্রমিক রফিকুল ইসলাম জানান, আমাদের এলাকায় ধান কাটা মেশিন আসায় আমরা এই বার আগাম আমন ধান কারো কাটতে ডাক পাই নি। আমি সহ আমার দলে ২০জন সবাই এখন পর্যন্ত বেকার বসে আছি। অথচ কয়েক বছর আগে এই সময় ছিল কাজের ভরা মৌসুম। এই সময়ে কাজ করে অনেক টাকা আয় করেছি। হাতে কোন কাজ না থাকায় রোজগার বন্ধ প্রায়। কৃষিসহ সর্বত্র যান্ত্রিক ব্যবহারের ফলে আমাদের কাজ কমে যাওয়ায় পরিবার নিয়ে কষ্টে দিন পার করছি।
বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন