শুক্রবার, ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

রাজারহাটে হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে শহীদদের স্মৃতি স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।

রাজারহাটে হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে শহীদদের স্মৃতি স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।
ইব্রাহিম আলম সবুজ রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে বুধবার ৬ডিসেম্বর সকাল ১০ঃ০০ঘটিকায় রাজারহাট উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলার ঠাটমারী বধ্যভূমি স্মৃতি স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও সকল শহীদদের স্মৃতি চারণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাবেরী রায়ের সভাপতিত্বে উক্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন রাজারহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়াদ্দী বাপ্পি।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন – নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে রাজারহাট উপজেলার যে ইতিহাস রয়েছে তা যথাযথভাবে তুলে ধরতে হবে। সে সময়ের ইতিহাস সংরক্ষণের কথাও বলেন তারা।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহিল জামান,উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুন্নাহার সাথী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবুনুর মোঃ আক্তারুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সহসভাপতি অধ্যাপক সাজেদুর হমান মন্ডল চাঁদ, ডিপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান আলী ও প্রেসক্লাব রাজারহাটের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সহ অনেকেই। শহীদদের স্বরণে এক মিনিট নিরবতা পালন শেষে উপজেলা মডেল মসজিদের ইমাম দোয়া পরিচালনা করেন।
উল্লেখ থাকে, ৭১র ৩০ মার্চ ক্যাপ্টেন নওয়াজেশের নির্দেশে ওই উইং এর অধিনস্থ অধিনায়ক সুবেদার নুর মোহাম্মদ, সুবেদার আঃ মান্নান, সুবেদার আরব আলী ও বোরহান উদ্দিন তাদের সহযোদ্ধা ইপিআরদের নিয়ে রাজারহাট হয়ে কুড়িগ্রামে যান। ১ এপ্রিল পাকিস্তানী বাহিনীর আক্রমন ঠেকাতে তিস্তা ব্রীজের অপর পাশে মুক্তিযোদ্ধারা একটি শক্তিশালী ঘাঁটি তৈরি করে। এসময় ইপিআর সদস্যরা রাজারহাট পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্যাম্প তৈরি করে।
৪ এপ্রিল পাকবাহিনী হারাগাছ দিয়ে তিস্তা নদী পার হয়ে লালমনিরহাটে অবস্থান নিলে মুক্তিযোদ্ধারা তিস্তার পূর্বপাড়ের ঘাঁটি রাজারহাট ও কুড়িগ্রাম নিয়ে আসেন। এর পর পাকবাহিনী দু’বার রাজারহাট আক্রমন করে। অবশেষে মধ্য এপ্রিলে হানাদার বাহিনী রাজারহাট দখল করে নেয়। পাকিস্তানী সেনাবাহিনী রাজারহাট দখল করে তাদের দোসরদের সহযোগীতায় সাধারন মানুষের ঘর-বাড়ীতে আগুন, লুটপাট, ধর্ষন ও গণহত্যা চালায়। অবশেষে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিগ্রেডিয়ার যোশীর নেতৃত্বাধীন ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৬ষ্ঠ মাউন্টেড ডিভিশনের সহযোগীতায় পাকবাহিনীর উপর পাল্টা আক্রমন চালিয়ে ৬ ডিসেম্বর রাজারহাট হানাদার মুক্ত করেন।
বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন