বুধবার, ৩রা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

পলাশবাড়ী মহাসড়কে অধিগ্রহণকৃত স্থাপনা সড়াতে পারে নি জেলা প্রশাসন

পলাশবাড়ী মহাসড়কে অধিগ্রহণকৃত স্থাপনা সড়াতে পারে নি জেলা প্রশাসন
গাইবান্ধাঃ উত্তরজনপদের প্রবেশদ্বার খ্যাত গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌর শহরের ঢাকা রংপুর মহাসড়কের জমি অধিগ্রহনের কাজ অসম্পূর্ণ রেখে দায়সারা ভাবে সড়কের নির্মাণ কাজ চলমান রেখেছে সাসেক প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজে সংশ্লিষ্টরা। জনমনে সমালোচনা চলছে টাকার বিনিময় বৈষম্য মুলক ভাবে  জমি অধিগ্রহন করা হয়েছে। বৈষম্য মুলক ভাবে অধিগ্রহনকৃত জমিতে দায়সারা ভাবে মহাসড়কে উন্নয়ন কাজ করা হলে স্থানীরা থাকবেন চরম ঝুঁকিতে। পলাশবাড়ী পৌর শহরের দক্ষিণ বন্দরের ফায়ার সার্ভিস সামন হতে ব্রাক মোড় পর্যন্ত মহাসড়কের পাশে অধিক গ্রহন কৃত জমি উদ্ধার করা সম্ভব হলেও মহাসড়কের পাশে থাকা ফুটপাতের অংশে সম্পূর্ণ উদ্ধার করতে পারেনি সাসেক প্রকল্পের সংশ্লিষ্টরা। এ প্রকল্পের নকশার কাজের ভিতরের সড়কের মুল অংশ উদ্ধার করে এবং নকশা অনুযায়ী ফুটপাতের অংশ বেদখলে রেখে দায়সারা ভাবে মহাসড়কের নির্মাণ কাজ করে চলছেন। এতে করে মহাসড়কের পাশে থাকা বিদ্যুৎ এর খুঁটি গুলো ইচ্ছে মতে যেমন তেমন ভাবে বসানো হচ্ছে। এসব বিদ্যুৎ এর খুঁটি মহাসড়কের অংশ হতে ফুটপাতের অংশের ২ ফিট দুরত্বে স্থাপনের নির্দেশনা থাকলেও অসম্পূর্ণ অধিগ্রহনের ফলে বিদ্যুৎ এর খুঁটি গুলো সড়ক ঘেষে মাত্র ১ ফিট দুরত্বে স্থাপন করা হয়েছে। এতে করে  বিদ্যুৎ এর খুঁটির এ্যাঙ্গেল গুলো মহাসড়কের উপরে বিদ্যুৎ এর তার পড়বে। এভাবে মহাসড়কের কাজ সম্পূর্ন হলে বিপদ জনক অবস্থায় থাকবে বিদ্যুৎ এর খুঁটি ও হাইভোল্টেজ তার গুলো। পলাশবাড়ী চৌমাথা মোড় হতে রাব্বির মোড় পর্যন্ত স্থানে বৈষম্য মুলকভাবে জমি অধিক গ্রহন করা হয়েছে এখনো বেদখলে রয়েছে ফুটপাতের জমি। এতে তিনটি বিদ্যুৎ এর খুঁটি সড়কের পাশে স্থাপন করায় বিপদ জনক অবস্থায় রয়েছে। অথচ অবকাঠামোর টাকা নেওয়ার পরেও ফুটপাতের অংশ দখল করে আছে জমির সাবেক মালিকপক্ষের ছোট বড় স্থাপনা। শুধু তাই নয় বহুতল ভবনের ৫ ফিট থেকে ১০ ফিট পর্যন্ত  জায়গা ভাঙ্গা হয় নি। সাসেক প্রকল্পের কতিপয় কর্মকর্তা অর্থের বিনিময়ে এসব  বহুতল ভবনের জায়গা  ব্যাতি রেখে কাজ করছেন।জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সার্ভেয়ার ও সাসেক প্রকল্পের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারনেই এই অবৈধ দখল উৎখাত করতে পারেনি বলে মনে করে সচেতন পলাশবাড়ীবাসী। এবিষয়ে উক্ত নির্মাণকাজের স্থলে থাকা সাসেক প্রকল্পের উপস্থিত প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম জানান,আমাদের নকশা অনুযায়ী সড়কের কাজ চলছে ফুটপাতের অংশ একাধিক স্থানে যেমন কমবেশী আছে তেমনি ফুটপাতের জায়গার অংশ এখনো বেদখল রয়েছে। একারণে বিদ্যুৎ খুঁটি গুলো এমন অবস্থায় পড়েছে। অধিগ্রহনকৃত জমি যে ভাবে যতটুকু উদ্ধার আছে তাতে আমাদের কাজ চলমান আছে পরবর্তী ফুটপাত বের করবেন। তবে বিদ্যুৎ এর খুঁটি গুলো বিপদ জনক অবস্থায় থাকার বিষয়ে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। নেসকোর আবাসিক প্রকৌশলী জানান, সড়কের মুল অংশ হতে দুই ফিট দুরত্বে ফুটপাতের অংশে এসব খুঁটি স্থাপন করা হবে। কোথায় যদি সমস্যা হয় সেটা দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অধিগ্রহনের বিষয়ে দেখবেন প্রকল্পের ও জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা। মহাসড়কের এ উন্নয়ন কাজে অধিগ্রহন কৃত জমি উদ্ধার কাজ সম্পূর্ণ করে মহাসড়কের নির্মাণ কাজের নকশা অনুযায়ী ফুটপাত অংশ দখল মুক্ত রেখে,বহুতল ভবন ভাঙ্গাসহ ও বিদ্যুৎ এর খুঁটি গুলো নিরাপদ স্থানে স্থাপন করার মাধ্যমে মহাসড়কের নির্মাণ কাজ শুরু করার জন্য সাসেক প্রকল্পের ও সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনী হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয় সচেতন মহল।
বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন