লালমিনরহাটে ১২০ টাকায় পুলিশের চাকুরী পেয়েছে ৩৬ জন তরুণ-তরুণী
লালমিনরহাট প্রতিনিধিঃ সকারও বাবা নেই, কেউ বা কৃষক, আবার কেউ বা দিনমজুর, কুলি, মুদি ব্যবসায়ী, কলা ব্যবসায়ী, অটো ও ভ্যান চালক, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, সিকিউরিটি গার্ড, মিল শ্রমিক, রাজ মিস্ত্রী, গার্মেন্টস কর্মী, গ্রাম পুলিশ, শিক্ষক ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ৩৬ জন তরুণ-তরুণী মাত্র ১২০ টাকায় কোন প্রকার সুপারিশ ছাড়াই মেধার ভিত্তিতে পুলিশের সদস্য হিসেবে চাকুরী পেয়েছে।
জানা গেছে, সেবার ব্রতে চাকুরী’ এই স্লোগানে শতভাগ মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে “চাকরি নয়, সেবা” এই প্রতিবাদ্যকে সামনে রেখে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগের জন্য লালমনিরহাট জেলার প্রায় ৩ হাজার ৬০০ জন প্রার্থী অনলাইনে আবেদন করেছিলেন। সদ্য জেলা পুলিশ লাইন্স মাঠে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্টিত হয়। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে, স্বচ্ছতা ও মেধার ভিত্তিতে লালমনিরহাট পুলিশ লাইন্সের ড্রিল সেডে লালমনিরহাট জেলা পুলিশ সুপার মোঃ তরিকুল ইসলাম পুলিশ কনস্টেবল ( সদস্য) পদে উত্তীর্ণদের ফলাফল ঘোষণা করেন। এতে ৩০ জন ছেলে এবং ৬ জন মেয়ে প্রাথমিক ভাবে নির্বাচিত হয়েছে।
তারা হলেন, কৃষকের ছেলে-১৫ জন ও মেয়ে ৩ জন, কুলির ছেলে ১জন, মুদি ব্যবসায়ীর ছেলে ১জন, কলা ব্যবসায়ীর মেয়ে ১জন, অটো চালকের ছেলে ২জন, ভ্যান চালকের ছেলে ২জন, পরিচ্ছন্নতাকর্মীর ছেলে ১জন, সিকিউরিটি গার্ডের ছেলে ১জন, দিনমজুরের ছেলে ১জন, গ্রাম পুলিশের ছেলে ১জন, মিল শ্রমিকের ছেলে ১জন, রাজ মিস্ত্রীর মেয়ে ১জন, বাবা নেই গৃহিণী মায়ের ছেলে ১জন ও গার্মেন্টস কর্মীর মেয়ে ১জন, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের ছেলে ১জন, শিক্ষক ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারেরসহ ৩৬ জন তরুণ-তরুণী মাত্র ১২০ টাকায় সুপারিশ ছাড়াই মেধার ভিত্তিতে পুলিশে চাকুরী পেয়েছে।
চাকুরী পেয়ে দিনমজুর অভিভাবক রফিকুল ইসলাম জানান, আমি আজ খুবেই আনন্দিত । আমার ছেলে মাত্র ১২০ টাকার বিনিময় পুলিশের চাকুরী পেয়েছে।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা পুলিশ সুপার মোঃতরিকুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে, স্বচ্ছতা ও মেধার ভিত্তিতে ৩৬ জনকে প্রাথমিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মেধা কোটা ব্যতীত অন্য কোনো কোটার প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়নি। কোনো প্রকার অনিয়ম দুর্নীতির আশ্রয় না নিয়ে নিঃস্বার্থভাবে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নিজেকে বিলিয়েছি এবং ১২০ টাকায় পুলিশ সদস্যের চাকুরী দিয়েছি।