রবিবার, ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

জলঢাকায় জমি জবরদখলের সময় বাধা দেয়ায় কুপিয়ে জখম,থানায় মামলা!

জলঢাকায় জমি জবরদখলের সময় বাধা দেয়ায় কুপিয়ে জখম,থানায় মামলা!
 বিশেষ প্রতিনিধি: নীলফামারীর জলঢাকায় ষড়যন্ত্রমূলক জমি জবরদখলের সময় বাধা দেয়ায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। এই রক্তক্ষয়ী ঘটনায় অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছে। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের ১০ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন ভিকটিমের শ্যালক। গত ২৩ সেপ্টেম্বর (বুধবার) সকালে উপজেলার খুটামারা ইউনিয়নের কিসামত বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। মামলা সূ্ত্রে জানা যায়, ওই এলাকার ছাইফুল ইসলাম ১২ শতাংশ জমি ক্রয় করে দীর্ঘদিন থেকে ভোগদখল করে আসতেছেন। উক্ত ভোগদখলীয় জমি প্রতিপক্ষ চাচাতো ভাই আবু,সাবু সহ অন্যান্য আসামির ষড়যন্ত্র করে জবর দখলের চেষ্টা করেন। এ নিয়ে ছাইফুল ইসলাম বিজ্ঞ আদালতে মামলা করেছেন। এছাড়াও আসামিরা বিভিন্ন সময় হুমকি ধামকি দেয়। এনিয়ে জলঢাকা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন ছাইফুল ইসলাম। যা এনজিআর মামলা হিসেবে বিজ্ঞ আদালতে চলমান আছে। এমতাবস্থায় গত ২৩ সেপ্টেম্বর সকালে বেআইনি ভাবে আবারও জমি জবরদখলের চেষ্টা সময় ছাইফুল ইসলাম বাধা নিষেধ করতে গেলে প্রতিপক্ষ আবু,সাবু,আলতাফ,রোস্তম,বাবু,টেক্কা,মশিউর সহ পরিবারের অন্য সদস্যরা দলবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। তাকে বাচাতে ছাইফুলের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এগিয়ে গেলে তাদেরও কোপাতে তাকে প্রতিপক্ষরা। এতে ছাইফুল ইসলাম,শহির উদ্দীন,ফরিদা বেগম,সেলিম ইসলাম ও এলিম ইসলাম গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। এই ঘটনার শোরগোল শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে প্রতিপক্ষরা প্রকাশ্যে হুমকি ধামকি দিয়ে চলে গেলে আহত ব্যক্তিদের মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে জলঢাকা উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীদের অবস্থা বেগতিক দেখে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। বর্তমান আহত ব্যক্তিরা চিকিৎসাধীন আছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ছাইফুল ইসলাম ১৭ শতকের মধ্যে ১২ শতাংশ জমি কিনে নিয়ে ভোগদখল করে আসছে। কিন্তু তারেই চাচাতো ভাইয়েরা ষড়যন্ত্র করে উক্ত জমি বেদখল দেয়ার চেষ্টা করছে। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছে অন্তত ১৩ জন। তবে ছাইফুল ইসলামসহ ৫ জন আশংকাজনক হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। সরেজমিনে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন,ছাইফুল ইসলাম কবলা দলিলমুলে দীর্ঘদিন থেকে জমি ভোগদখল করে আসছে। কিন্তু তারেই চাচাতো ভাইয়েরা ষড়যন্ত্র করে কাগজপত্র তৈরি করে উক্ত জমি জবরদখলের চেষ্টা করতেছে। এমনকি সেদিন ছাইফুলদের যেভাবে মেরেছে? এলাকাবাসী এগিয়ে না এলে তাদের সবাইকে মেরেই ফেলতো? এরকম অন্যায় মেনে নেয়ার মত নয়? আমরা এলাকাবাসী ন্যায় বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
বিষয়টি জানতে প্রতিপক্ষ আবু’র বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায় নি। তবে তার পরিবারের লোকজন জানায়, আমরা প্রকৃত মালিকের কাছ থেকে জমি দলিল করে নিয়েছি। এখন থেকে ওই জমি আমাদের। এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জলঢাকা থানার এস আই আবু হাসান বলেন, জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে উভয়পক্ষ মামলা করেছে। মামলা দুইটি তদন্তাধীন আছে।
বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন